শেষ আপডেট: 11th March 2025 19:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার 'ফুসফুস' (Panihati land dispute) বিক্রির ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সামনে আসার পর মলয় রায়কে (Chairman Malay Roy) পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। কিন্তু তারপরও মলয় রায় চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় এদিন তাঁকে ফোন করে দ্রুত পদত্যাগের নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim।
কিন্তু পদত্যাগ তো দূরস্ত, অপরাধের 'কারণ' জানতে চেয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন মলয় রায়। সূত্রের খবর, কারণ জানতে চেয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যেতে পারেন তিনি।
মলয়ের সাফ কথা, "আমি কী অপরাধ করলাম, এটা জানা দরকার। সারা পানিহাটির মানুষ জানে আমি মানুষের কাজ করি। আমি যদি মাঠ বেচে খেতাম, তাহলে অনেকের মতো আমিও ফ্ল্যাট বানাতে পারতাম। ৩৫ বছর আগে যা ছিলাম, আজও তাই আছি।"
ছুড়েছেন পাল্টা প্রশ্নও। মলয়ের কথায়, "অপরাধী না হয়ে কেন অপরাধের ভাগ নিতে যাব? মাঠ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। হতে পারে কেউ আমাকে খারাপ করার জন্য বা নিজেকে ভাল করার জন্য চক্রান্ত করেছে। সেটা সামনে আসা জরুরি। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। পুরমন্ত্রীর কাছেও কারণ জানতে চেয়েছি।"
শারীরিক ভাবে অসুস্থ মলয়বাবু দ্য ওয়ালকে এও বলেন, "দেখছি, আজই রাতে পারলে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কারণ জানতে চাইব।"
পানিহাটি পুরসভার (Panihati Municipality) ফুসফুস বলা হয় 'অমরাবতী মাঠ'কে। ৮৫ বিঘের সেই মাঠের একাংশ জবরদখল করে আবাসন প্রকল্পের জন্য বিক্রির অভিযোগ উঠছে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই কাজে নাকি মদত রয়েছে স্বয়ং পানিহাটির চেয়ারম্যান মলয় রায়ের।
অভিযোগ সামনে আসতেই গত শুক্রবার পুরসভার চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও মলয় রায় চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় এদিন তাঁকে ফোন করে দ্রুত পদত্যাগের নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
যদিও নিজের দাবিতে অনড় রয়েছেন মলয়। তাঁর কথায়, "৩৫ বছর কাউন্সিলর রয়েছি। কেউ বলতে পারবে না, যে আমি নিজের জন্য কিছু করেছি। এই বদনাম কেন সহ্য করব।" এখন দেখার পুরমন্ত্রীর সঙ্গে পানিহাটির চেয়ারম্যানের দেখা হওয়ার পর পরিস্থিতির কোনও বদল হয় কিনা।