শেষ আপডেট: 11th March 2025 19:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পানিহাটি পুরসভার (Panihati Municipality) অন্তর্গত 'অমরাবতী মাঠ' নিয়ে জটিলতা কাটাতে ফের হস্তক্ষেপ করতে হল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। গত শুক্রবার পুরসভার চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও পুরপ্রধান মলয় রায় (Malay Roy) পদত্যাগে রাজি হননি। মঙ্গলবার ফের তাঁকে ফোন করেন ফিরহাদ। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের কথা ওই চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। তবে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
নাগরিক পরিষেবা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পানিহাটি পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সম্প্রতি স্থানীয় 'অমরাবতী মাঠের' বড় অংশ আবাসন প্রকল্পের জন্য বিক্রির পরিকল্পনা ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। পরিস্থিতি জটিল দেখে হস্তক্ষেপ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। গত শনিবার মলয়কে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পরেও সোমবার পর্যন্ত পদত্যাগ করতে রাজি হননি পুরপ্রধান মলয় রায়। দলীয় নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এই ক'দিন পুরসভায় এসে কাজকর্ম সামলেছেন মলয়। সই করেছেন বিভিন্ন ফাইলেও। আজ ফের ফিরহাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের কথা জানিয়ে সতর্ক করেন চেয়ারম্যানকে।
মলয় রায় পদত্যাগ না করার পেছনে শাসকদলেরই স্থানীয় কোনও প্রভাবশালীর মদত রয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। দলের অন্দরেরই কেউ কেউ বলাবলি করছিলেন, নিশ্চয়ই কোনও প্রভাবশালীর ঠ্যাকনায় দলের শীর্ষ স্তরের নির্দেশ অমান্য করার সাহস দেখাতে পারছেন চেয়ারম্যান।
এখন প্রশ্ন, তিনি পদত্যাগ করতে তাঁর জায়গায় বেহাল পানিহাটি পুরসভার হাল ধরতে নতুন পুরপ্রধান পদে কাকে বসানো হবে? তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, পদত্যাগ ইস্যু সামনে আসতেই পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (পূর্ত) সোমনাথ দে-কে। অন্দরের একজনের কথায়, 'এটাও কোনও আচমকা সিদ্ধান্ত হতে পারে না, দিদি যা করেন ভেবেই করেন।'