দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা করোনা মহামারীর জেরে ১০ কোটি মানুষ চূড়ান্ত দারিদ্রের মুখে পড়তে চলেছে কয়েক মাসের মধ্যে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিকতম এই তথ্য রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দিয়েছে আগামীর আশঙ্কায়।
দিন কয়েক আগেই ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, সারা বিশ্বের ৬ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রের মুখে পড়বেন প্যানডেমিকের কারণে। কিন্তু গতকাল, বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি ডেভিড মালপাস জানিয়ে দিলেন, চূড়ান্ত দারিদ্রের মুখে পৌঁছনো মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, যে করোনা সংক্রমণের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা না গেলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
মালপাস জানিয়েছেন, এই মহামারীর সময়ে যেসব গরিব দেশ প্রবল ঝুঁকির মুখোমুখি, তাদের ওপর ঋণের বোঝা কমানো খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ঋণদাতা সংস্থা বা কর্তৃপক্ষগুলিকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। ইতিমধ্যেই প্রথম বিশ্বের বেশ কিছু দেশ জানিয়েছে, গরিব দেশগুলির থেকে তারা এ বছর ঋণ আদায় করবে না এবং বাড়তি সাহায্যের কথা ভাববে। তবে তাতেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল হবে কিনা, সে বিষয়ে আশাবাদী নন মালপাস।
এসবের মধ্যেই ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে ১০০টি দেশের জন্য ১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য করবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুরবস্থা এতে ফিরবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়ে গেছে খোদ বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্তাদেরই।
এর কারণ হিসেবে মালপাস ব্যাখ্যা করেছেন, প্যানডেমিকের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছেন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে খাবারের কমতি। সব দিক থেকে ক্রমে নীচে নেমে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাপনের মান। উদাহরণ স্বরূপ ভারতের ক্ষেত্রে দিনে ১৪৪ টাকা বা তারও কম আয় হতে পারে এক একটা পরিবারের।
এই বিষয়টিকে প্যানডেমিক ডিপ্রেশন বলে ব্যাখ্যা করছেন অর্থনীতিবিদরা। মালপাসের কথায়, "এই ডিপ্রেশন আসলে মানুষের টিকে থাকার লড়াই।"