শেষ আপডেট: 3rd November 2024 19:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় সমীর থান্ডারকে প্রাণে মারার অভিযোগ উঠেছে।
তড়িঘড়ি তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও লাভ হয়নি। শনিবার তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে শান্তিনিকেতন পুলিশ। তবে কী কারণে এমন ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভুত। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ দাবি উড়িয়ে জানিয়েছে, ‘সমীর আমাদের দলের ভাল কর্মী ছিল। ওঁর সঙ্গে কারও কোনওরকম অশান্তি ছিল না। শনিবার রাতে তাঁর উপরে কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ। খুব শীঘ্রই আসল বিষয় সামনে আসবে।’ তবে গেরুয়া শিবিরের দিকেই বল ঠেলে অভিযোগের বোঝা তাদের উপরেই চাপিয়েছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরসভায় কাজ করার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কঙ্কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন পারুলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা সমীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন উত্তরনারায়ণপুর এলাকায় তাঁর ওপরে হামলা চালায় কয়েকজন। তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে পরে ওই তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। রবিবার সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মৃত্যু হয় ৪৬ বছর বয়সি পঞ্চায়েত সদস্যের। মৃত্যুর আসল কারণ এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে একাধিক বিষয়ে উঠে আসছে। সেখানে একদিকে যেমন রয়েছে পরকীয়ার অভিযোগ, তেমনই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ও কারও সঙ্গে ঝামেলার জেরে এমন ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।