প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 3 May 2025 23:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৪৫ বছর ধরে চন্দননগরের কুঠিরমাঠ এলাকায় বাস করছিলেন ফতেমা বিবি। তাঁর স্বামী ও সন্তানরা রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফতেমা ১৯৮০ সালে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাবার সঙ্গে ভারতে আসেন। দুই বছর পর ১৯৮২ সালে চন্দননগরের এক বেকারি মালিক মুজফফর মল্লিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়ে, যাদের বিয়েও হয়ে গেছে।
এদিকে, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের নথিপত্রে দেখা যায় যে, ফতেমা ভিসা নিয়ে আসার এক বছর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গী হামলার পর, ভারত সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরেই যারা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে রয়ে গেছেন, তাদের খোঁজ শুরু হয়।
চন্দননগরের কুঠিরমাঠের পাশে একটি মসজিদের পিছনে মুজফফর মল্লিকের দোতলা বাড়ি। সেই বাড়ি থেকেই আজ ফতেমা বিবিকে গ্রেফতার করা হয়। এতদিন পর একজন বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করায় প্রতিবেশীরা অবাক। তবে, আইনি জটিলতা কাটিয়ে তার মুক্তির জন্য তারা চেষ্টা করছেন।
ফতেমার পাকিস্তানে কোনও আত্মীয় নেই, তার সব আত্মীয়ই ভারতে আছেন। তাঁর স্বামী এবং মেয়েরা জানিয়েছেন, ফতেমার পূর্বপুরুষদের বাড়ি ছিল হুগলির নালিকুলে, সেখানে তাঁর জন্ম। পরে কাজের জন্য ফতেমার বাবা পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি চলে যান, এবং সেখান থেকেই ১৯৮০ সালে ভারতে আসেন।
এখন ফতেমার বয়স ষাট। নানা ধরনের ওষুধ খেতে হয় তাঁকে, এবং ডাক্তার জানিয়েছেন, তাঁর হাটুতে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাঁকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়। ফতেমার স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী চন্দননগর কর্পোরেশনের বারো নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার, এবং তাঁর আধার ও প্যান কার্ডও রয়েছে। ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা হলেও, এতদিনেও তা সুরাহা হয়নি।