শেষ আপডেট: 4th January 2022 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফরাসী যুদ্ধবিমান রাফাল চলে এসেছে ভারতের হাতে। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিও পেয়ে গেছে ভারত। তাই এখন সমানে সমানে টক্কর দেওয়ার চেষ্টায় চিন থেকে জে-১০ সি যুদ্ধবিমান কিনে ফেলেছে পাকিস্তান। ২৫টি যুদ্ধবিমানের সম্পূর্ণ স্কোয়াড্রন কেনার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের ইমরান মন্ত্রিসভার মন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ। এর মধ্যে ১৮টি থাকবে এয়ার বেসে, বাকিগুলির খোলনোলচে বদলে আরও উন্নত ভার্সন নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহেই রাফাল চলে এসেছে ভারতের হাতে। রাফালের শক্তি ও প্রযুক্তি দেখে পাকিস্তানও নতুন যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনায় ছিল। স্বভাবতই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে 'বন্ধু' চিন। ভারতের যুদ্ধবিমান রাফালকে টক্কর দিতে চিনে নির্মিত জে ১০-সি যুদ্ধবিমানে আস্থা রেখেছে ইমরান সরকার।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন ও পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্সের শক্তি তো শুধু সারফেস থেকে এয়ারে অর্থাৎ আকাশ থেকে ভূমিতে মিসাইল ছোড়ার প্রযুক্তিই তাদের বেশি। ভারত সেখানে কয়েকধাপ এগিয়ে। সারফেস-টু-এয়ার, এয়ার-টু-এয়ার এমনকি এয়ার-টু-সারফেসে মিসাইল ছোড়ার প্রযুক্তি ভারতীয় বায়ুসেনার মুঠোয়। রাফাল সেখানে দূরপাল্লার দুই ক্ষেপণাস্ত্রযুক্ত হয়েই আসছে। একদিকে ‘বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ মিসাইল’ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল মেটিওর যা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁত টার্গেট করতে পারে। অন্যদিকে, লো-অবজার্ভর ক্রুজ মিসাইল ‘স্কাল্প’ যা ৬০০ কিলোমিটার পাল্লা অবধি লক্ষ্যে টার্গেট করতে পারে।
চিন যদিও দাবি করেছে, পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে জে-১০ সি থেকে যার পাল্লা ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিলোমিটার। রাফালের মেটিওর ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে পিএল-১৫ টক্কর দিতে পারবে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত, পাক যুদ্ধবিমান ও তাদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের ধারেকাছেই আসে না। রাফাল যুদ্ধবিমানে রয়েছে আরবিই২ অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড রাডার। যে কোনও পরিস্থিতিতে ও আবহাওয়ার অবস্থায় শত্রুপক্ষের এয়ারক্রাফ্টের খোঁজ দিতে পারে। একসঙ্গে অনেকগুলো টার্গেটে নজর রাখতে পারে এই রাডার, যা পাক যুদ্ধবিমানে নেই।