শেষ আপডেট: 10th January 2022 13:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সোমবার কাজাখস্তানের (Kazakhstan) সরকার জানায়, এক সপ্তাহের দাঙ্গাহাঙ্গামায় দেশে মারা গিয়েছেন অন্তত ১৬৪ জন। বিক্ষোভকারীদের (Agitators) দেখলেই গুলি চালাচ্ছে (Shoot to kill) নিরাপত্তারক্ষীরা। রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন কাজাখস্তানে ঢুকে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে। অন্যদিকে কাজাখ নিরাপত্তারক্ষীদের যেভাবে 'শুট টু কিল'-এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এক সপ্তাহ আগে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম প্রজাতন্ত্র কাজাখস্তানে আচমকাই জ্বালানির দাম অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপরই অশান্তি শুরু হয় ১ কোটি ৯০ লক্ষ জনসংখ্যার ওই দেশটিতে। একে একে দেশের প্রতিটি বড় শহরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী আলমাতিতেও বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির ক্ষতি হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গুলি চালাতে থাকে। এছাড়া প্রায় ৬ হাজার মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন বিদেশি। রবিবার প্রথমে কাজাখ সরকার জানায়, ২৬ জন 'সশস্ত্র অপরাধী' মারা গিয়েছে। ১৬ জন নিরাপত্তারক্ষীও খুন হয়েছেন। পরে ফের সরকার জানায়, মৃতের সংখ্যা ১৬০-এর বেশি। রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সংবাদমাধ্যম জানায়, ভুল করে মৃত্যুর সংখ্যা কম বলা হয়েছিল। যদিও কাজাখ সরকার এসম্পর্কে কিছু বলেনি। কাজাখ সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১০০ ব্যাঙ্ক ও বাণিজ্যিক সংস্থার অফিসে হামলা হয়েছে। অন্তত ৪০০ গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত রাজধানী আলমাতি কিছুদূর শান্ত হয়েছে। আর যাতে বিক্ষোভ না হয়, সেজন্য শূন্যে গুলি ছুড়ছে পুলিশ। রাজধানীর সুপার মার্কেটগুলি এক এক করে খুলছে। যদিও খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহে টান পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার জানা যায়, কাজাখস্তানের নিরাপত্তাবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান করিম ম্যাসিনভকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন। শুক্রবার কাজাখ সরকার জানায়, ২০ হাজার 'সশস্ত্র দস্যু' আলমাতিতে হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে দেখামাত্র গুলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দেখামাত্র গুলির আদেশ দেওয়া অন্যায়। ওই আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। সেই ১৯৮৯ সাল থেকে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন নুরসুলতান নাজারবায়েভ। তিনি কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছেন। ৮১ বছর বয়সী নাজারবায়েভের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের বেশিরভাগ মানুষ। তালদিকোরগান নামে এক শহরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মূর্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছে জনতা। অভিযোগ, পদত্যাগ করেও আড়াল থেকে সরকার চালাচ্ছেন নাজারবায়েভ। তাঁর পরিবার বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছে।