পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে হুগলির হরিপালে আট ধরনের প্রজাতির লঙ্কা চাষ করা হচ্ছে।
শেষ আপডেট: 21 May 2025 20:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে এতদিন কাঁচা লাল লঙ্কা আমদানি করত জাপান। কিন্তু সেখানে বাজার দর বেশি হওয়ায় ভারতমুখী হচ্ছে জাপানিরা। হরিপাল থেকে কাঁচা লঙ্কা যাচ্ছে জাপানে। বদলে যাচ্ছে চাষিদের আর্থিক অবস্থা।
২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত মিত্র জাপানি এক সংস্থার সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করেন । রাজ্যে সবজি ও ফল প্রসেসিং ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা নেয় সেই সংস্থা। সিঙ্গুরে তাপসী মালিক কৃষক বাজারে একটি ওয়ারহাউসে ইউনিট তৈরি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী জাপানি সংস্থা রাসায়নিক ও কীটনাশক বিহীন চাষ করানো শুরু করে চুক্তি ভিত্তিক কৃষকদের দিয়ে। কলকাতা সহ বেশ কিছু শপিং মলে তাদের সবজি ও ফল বাজারজাত করা হচ্ছে। এবার ওই সংস্থা জাপানের বাজার অনুযায়ী কাঁচা লাল লঙ্কা রফতানির পরিকল্পনা নিয়েছে।
পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে হুগলির হরিপালে আট ধরনের প্রজাতির লঙ্কা চাষ করা হচ্ছে। যা প্রসেসিং করা হবে সিঙ্গুর থেকেই। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা মূলকভাবে ১৬০ কিলো লাল লঙ্কা জাপানে পাঠানো হয়।আপাতত দুই রকম প্রজাতির লঙ্কা সেখানে যাবে। জাপানি রেস্তোরাঁগুলিতে স্যুপ ও বিভিন্ন খাবারে লাল রঙের কাঁচা লঙ্কার চাহিদা রয়েছে।সেই অনুযায়ী যদি সিঙ্গুর হরিপাল সহ বিভিন্ন জায়গায় উৎপাদন বাড়ানো যায় তাহলে চাহিদা মেটানো সম্ভব।
বর্তমানে এই লঙ্কার পাইলট প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হরিপালের দুজন চাষী। শুভেন্দু সিংহ রায় ও গৌতম দাস।
হরিপালের পানিশ্যাওলা বাসিন্দা গৌতম দাস বলেন, "আমাদের ধারণা ছিল খাদ্যশস্য উৎপাদন করব সেই খেয়েই জীবন ধারণ করব । বর্তমানে জাপানিরা আমাদের শেখাচ্ছে কৃষি একটা ব্যবসা। নির্দিষ্ট ফসল তৈরি করে মার্কেটিং করে বিক্রি করতে হবে। জাপানিরা আসছেন তাদের টেকনোলজিতে আমরা চাষবাস শিখতে পারছি। এখনও পর্যন্ত টেস্টের জন্য ১৬০ কিলো লঙ্কা পাঠিয়েছি জাপানে। দুটো প্রজাতি পছন্দ করেছে জাপানিরা। আর এই চাষ করলে আর্থিক দিক থেকেও এগিয়ে যাব আমরা।"
কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "সিঙ্গুরে কৃষাণ বাজারে রাজ্য ও জাপানি সংস্থার উদ্যোগে ইতিমধ্যেই জৈব পদ্ধতিতে কৃষকদের চাষ করাছে। আগামীদিনে এই লঙ্কা বিদেশের বাজার দখল করবে। মিশন নির্মল বাংলার মাধ্যমেও কৃষকদের হাতে জৈব সার তুলে দিচ্ছি। যাতে কৃষকরা আরও লাভবান হয়।"