শেষ আপডেট: 2nd January 2024 19:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সওয়াল না শুনেই আদালত এক তরফা রায় দিয়েছে। এই যুক্তিতে মঙ্গলবার বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির হলেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে।
আইনজীবী তাপস মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে আদালতের কাছে প্রতাপবাবুর আর্জি, "তাঁর বক্তব্য না শুনে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে রাজি হননি।” শুনানি শেষ হলেও এদিন রায় স্থগিত রেখেছে এসিজেএম আদালতের বিচারক।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে পেশায় একজন আইনজীবী। তাঁর বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধা সম্পত্তি বিবাদ সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছেন। বৃদ্ধার অভিযোগ, তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন প্রতাপচন্দ্র দে। যেখানে অন্যায়ভাবে তাঁকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা এবং উচ্ছেদ করার অভিযোগ নিয়ে মামলা করেছিলেন তিনি, সেই মামলাতেই তদন্তকারীদের উপর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছিলেন বিচারপতি সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। গত ১ ডিসেম্বর ভবানী ভবনে তাঁকে তলব করেছিল সিআইডি। পরে আরও ২ বার ওই মামলার সূত্রেই তাঁকে ডেকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, প্রতাপচন্দ্রের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা এ কথাও বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অতিরিক্ত পদক্ষেপ করা যাবে না।
তা সত্ত্বেও তদন্তের নামে তাঁকে মানসিক হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন প্রতাপবাবু।
চিঠিতে তিনি পরিষ্কারভাবে লিখেছিলেন, 'তাঁর বিচারপতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।" এ ব্যাপারে কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রতাপ। এমনকি সিআইডি ফোন জমা দিতে বললেও তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে তদন্তকারীদের জানিয়ে ফোন জমা দেননি। যার জেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। আদালত সিআইডির ওই আবেদন মঞ্জুর করেছিল।