শেষ আপডেট: 11th November 2023 17:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: সুবর্ণরেখা নদী তীরে কুঠিঘাট কালী মন্দির। গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের এই মন্দিরে দেবীর দর্শন করতে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও ভিড় করেন মানুষ। এখানে দেবী নিরামিষাশী।
শতবর্ষ প্রাচীন এই মন্দিরে দেবীর নিত্য পুজো যেমন হয়, তেমন কালীপুজোর দিন অগনিত ভক্ত সকাল থেকে পুজো দিতে আসেন। এখানে দেবীর আরাধনা হয় বৈষ্ণব রীতি মেনে। তাই বলি প্রথা নেই। ভক্তদের বিশ্বাস কুঠিঘাট কালী মন্দিরের দেবী খুবই জাগ্রত। তাই জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকটি ব্লকের মানুষ যেমন পুজো দিতে আসেন, তেমন বছরভর পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড থেকেও ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। বাড়তি পাওনা মন্দিরের বারান্দা থেকে সুবর্ণরেখা নদী আর ইংরেজ আমলের ঐতিহাসিক নীলকুঠি দেখার সুযোগ।
রাত পোহালেই বাঙালি মাতবে শক্তির আরাধনায়। কুঠিঘাট মন্দিরেও চলছে পুজোর প্রস্তুতি। ভিড় এড়াতে শনিবার থেকেই ভক্তরা পুজো দিতে আসতে শুরু করেছেন। শতবর্ষ প্রাচীন এই মন্দিরে কালীপুজোর দিন ১০৮ রকমের প্রসাদ নিবেদন করা হয়। বেশিরভাগ মন্দির ও পুজো মণ্ডপে রাতে পুজো হলেও এখানে সকাল থেকে সারারাত পুজো দিতে পারেন ভক্তরা।
তবে ভক্তদের আবেগ জড়িয়ে থাকা প্রাচীন মন্দিরটির সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ। ভক্তদের আক্ষেপ, পাশাপাশি বহু মন্দিরের সংস্কার ও উন্নতিতে সরকারি সাহায্য এলেও কুঠিঘাট কালী মন্দিরে কোনও সরকারি সাহায্য আসে না। তাই আগামী দিনে এই মন্দিরের শ্রী বৃদ্ধিতেও সরকার উদ্যোগ নিক এমনটাই দাবি এলাকার মানুষের।