শেষ আপডেট: 20 January 2024 04:32
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: হাতে মাত্র দুদিন। তারপরেই অযোধ্যায় নবনির্বিত রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। অযোধ্যা জুড়ে এখন শেষ মুহূর্তের তৎপরতা। তবে শুধু রামের পুজো অযোধ্যাতে হবে তা নয়, ২২ জানুয়ারি দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ওই একই সময়ে রামের পুজোর উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও।
জানা যাচ্ছে, ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল এবং রাজ্যে থাকা একাধিক কেন্দ্রীয় হাসপাতালেও রামের পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতার বেশ কয়েকটি কর্পোরেট হাসপাতালও।
তবে ব্যবসায়িক কারণে বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কেউ বিশেষ মুখ খুলতে চাইছেন না। কলকাতার একটি কর্পোরেট হাসপাতালের এক পদস্থ কর্তার কথায়, "আমাদের হাসপাতালে একটি মন্দির রয়েছে। সেখানেই চিকিৎসকদের একাংশ ২২ জানুয়ারি রামের পুজোর আয়োজন করছেন বলে শুনেছি।"
ওই কর্তা জানান, কলকাতার বাইরে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের সংস্থার একাধিক হাসপাতাল আছে। তাই একাংশ চিকিৎসকের রাম-পুজোর অনুরোধ তাঁরা যেমন ফিরিয়ে দিতে পারেননি, তেমনি রাজ্য বিষয়টিকে কী চোখে দেখবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ প্রচারের পথে যেতে নারাজ তাঁরা।
সূত্রের খবর, কলকাতার পাশাপাশি জেলার একাংশ বেসরকারি হাসপাতালেও করাম পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কর্মকর্তাদের কেউই প্রকাশ্য়ে বিশেষ মুখ খুলতে নারাজ।
তবে বিজেপির চিকিৎসক সেলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার কনভেনার শারদ্বত মুখোপাধ্যায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "ইতিমধ্যে অযোধ্যা থেকে আনা প্রসাদী চাল, রামের ছবি এবং রামলালার উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পত্র সহকর্মীদের মধ্যে বিলি করেছি। এবার একাধিক মন্দিরে রামের পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি ভগবান রামের পুজোকে কেন্দ্র করে বিশেষ আয়োজনও থাকছে।"
শুধু বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা এ রাজ্যের একাধিক হাসপাতালেও ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে রামের পুজো। জানা যাচ্ছে সেই তালিকায় রয়েছে জোকা ইএসআই হাসপাতাল, বন হুগলির ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর লোকোমোটর ডিজ়এবিলিটিজ়’ এ-ও রাম পুজোকে কেন্দ্র করে বিশেষ আয়োজন থাকছে।
তবে চিকিৎসকদের একাংশের এমন উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। তাঁর বক্তব্য, "মানুষের সেবা করার জন্য চিকিৎসকরা শপথ নিয়ে এই পেশায় আসেন। তাঁদের কাছ থেকে এমন আচরন অনভিপ্রেত। আসলে বিজেপি গ্রামের নামে রাজনীতি করছে। এটা তারই ফল।"