শেষ আপডেট: 21st April 2023 06:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়ে ফের কলকাতায় মৃত্যু হল একজনের। জানা গেছে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে দমদমের বাসিন্দা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর উপসর্গ দেখে ডাক্তাররা বলেছেন, কোভিড নিউমোনিয়াই (Covid Pneumonia) মৃত্যুর কারণ।
কোভিড সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসের সমস্যা ছিল বৃদ্ধের। ফুসফুসে ফ্লুইড জমা হয়েছিল তাঁর। বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
করোন সংক্রমণ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। দেশে প্রায় প্রতিদিনই হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে। মৃত্যুও হচ্ছে। দিল্লিতে এখনই সংক্রমণের হার ২১ শতাংশের বেশি। বাংলাতেও করোনা ছড়াচ্ছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে কম হলেও এ রাজ্যেও কোভিডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কোভিড নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছে যা নিয়ে সতর্ক করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
সংক্রমণের কারণে যখন ফুসফুসে পুঁজ বা ফ্লুয়িড জমা হয়, তখন শ্বাসযন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। ফলে শরীরের ভিতরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয় না। একেই সাধারণ ভাবে নিউমোনাইটিস বা নিউমোনিয়া বলে। কিন্তু করোনাকালে এই চেনা রোগের নামটাই যেন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউমোনিয়া নানা ভাবে হতে পারে। কখনও ব্যাকটেরিয়া-জনিত কারণে, কখনও ভাইরাসের কারণে, আবার কখনও ফাঙ্গাস বা ছত্রাক জনিত কারণে। করোনার কারণে যে নিউমোনিয়া (Covid Pneumonia), সেটাই কোভিড নিউমোনিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে শ্বাসনালির। শ্বাসনালির উপরের অংশটি আক্রান্ত হলে সর্দি-কাশি, জ্বর হয়। আর নীচের অংশ অর্থাৎ ফুসফুস যদি কোভিড ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে জটিলতা আরও বাড়ে।
সাধারণ নিউমোনিয়ার সঙ্গে কোভিড নিউমোনিয়ার মূল তফাত হল, নিউমোনিয়া সাধারণত ফুসফুসের একটা অংশকে সংক্রমিত করে। ফলে সেই জায়গাটি সাদা হয়ে যায়। কিন্তু কোভিডের মতো যে কোনও ভাইরাল নিউমোনিয়ায় ফুসফুসের নানা জায়গায়, এমনকি একই সঙ্গে দু’টি ফুসফুসের একাধিক অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার সাধারণ নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে আলভিয়োলাই বেশি আক্রান্ত হয়। কিন্তু কোভিড নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে আলভিয়োলাই এবং রক্তনালির মাঝখানে যে পর্দা থাকে, সেই জায়গাটও আক্রান্ত হয়। সাধারণ নিউমোনিয়ায় বুকে কফ জমে। কাশির সঙ্গে সেই কফ বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু কোভিডে কফ প্রায় থাকে না বললেই চলে। এতে শুকনো কাশি দেখা যায়।
ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে করোনা রোগীদের? নতুন উপসর্গ দেখলেন বিজ্ঞানীরা
কোভিড নিউমোনিয়াতেও চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিক দেন। কারণ, কোভিড নিউমোনিয়ার ছ’ থেকে দশ দিনের মাথায় শরীরে ইনফ্ল্যামেটরি রিঅ্যাকশন শুরু হয়। সেই সময়েই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। রোগের তীব্রতা বাড়লে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধতেও পারে। সেক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করে ডাক্তারবাবুরা ট্রিটমেন্ট শুরু করেন।