শেষ আপডেট: 27th June 2024 15:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুন শেষ হতে চলল। তিন সপ্তাহ পরেও বিধায়ক হিসেবে শপথ পাঠ করতে না পেরে বুধের পর বৃহস্পতিবারও বিধানসভায় ধর্নায় বসলেন শাসকদলের নব নির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার।
বুধবার বিধানসভার সিঁড়িতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন সায়ন্তিকারা। এদিন থেকে তাঁরা বাবাসাহেব ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্না শুরু করেছেন। শপথগ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।এদিকে বুধবার দুপুরেই দিল্লি চলে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কবে ফিরবেন, তা স্পষ্ট নয়। ফলে চলতি মাসে নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বুধবার এব্যাপারে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও সেরেছেন তিনি। এর আগে ময়নাগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণের ক্ষেত্রেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অযথা সময় নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল।
এই প্রসঙ্গে বুধবার বিধানসভার স্পিকার জানিয়েছিলেন, "রাজ্যপাল গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো মানছেন না। এভাবে উনি দু'জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির শপথ গ্রহণ আটকে রাখতে পারেন না। এবার আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিরও দ্বারস্থ হব।"
রীতি অনুযায়ী, বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের অনুমতি প্রয়োজন। সেজন্য সম্প্রতি রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিলেন স্পিকার। এ ব্যাপারে রাজ্যপালকে সংবিধানের নিয়মের কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন বিমানবাবু। এরপরই রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেয়ে সায়ন্তিকা ও রায়াতকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে রাজভবনের পরিবর্তে তাঁরা বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করতে চান বলে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন।
সম্প্রতি রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার পরোক্ষে ওই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে।’’
এরপরই সায়ন্তিকাও জানিয়ে দিয়েছেন, "আমি আগেই বলেছিলাম বিধানসভায় শপথ নেব। এবার নেত্রীও বলে দিয়েছেন। ফলে রাজভবনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠছে না।"
দু'পক্ষই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় শপথ নিয়ে জটিলতা বাড়ছেই। এখন দেখার রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করান কিনা।