শেষ আপডেট: 16th October 2023 22:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চারিদিকে উৎসবের বাতাবরণ। হাটে বাজারে শপিং মলে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটার উপচে পড়া ভিড়। তারমাঝেও ওদের জীবনে যেন অন্ধকারের দশা কিছুতেই কাটছে না। কেউ ৫ বছর, কেউ বা ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু পুজোর বোনাস? নৈব নৈব চ! পুজো প্রাক্কালে তাই বোনাস চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (এনএসকিউএফ) শিক্ষকরা।
সংগঠনের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক নির্মল মণ্ডল বলেন, "২০১৩ সাল থেকে আমরা কাজ করছি। রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের চুক্তিভিত্তিক সহ সকলে উৎসব ভাতা বা পুজোর বোনাস পেয়ে থাকে। কিন্তু আমরা আজও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মাসের বেতনও ঠিক সময়ে পাই না। ফলে এবারও পুজোতে পরিবারকে কিছু কিনে দিতে পারলাম না। তাই পুজোর বোনাস চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেলে চিঠি পাঠিয়েছি।"
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৌরভ সর বলেন, "আমার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। আমি কোচবিহারে তুফানগঞ্জে কর্মরত।বাড়ি থেকে ৭২০ কিমি দূরে আছি, যা বেতন পাই তাতে ঠিকমতো সংসার চালাতে পারছি না। বোনাস পেলে হয়তো পরিবারের সদস্যদের নতুন কিছু কিনে দিতে পারতাম।”
এনএসকিউএফ-এর অর্থ ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক। রাজ্যে এমন মোট ৭২৬টি স্কুল রয়েছে। ২০১৩ সালে ৯০টি স্কুলে প্রথম শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। এর পরে আস্তে আস্তে বাড়ে এই স্কুলের সংখ্যা। এই প্রকল্পের আওতায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত, মূল পাঠ্য বিষয়ের পাশাপাশি শেখানো হয় ইনফরমেশন টেকনোলজি, রিটেল, প্লাম্বিং, বিউটি ও ওয়েলনেস– এই ধরনের ১৩টি বিষয় শেখানো হয়।
তাঁদের অভিযোগ, বেশিরভাগ এজেন্সি কোনও না কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার। এই এজেন্সিগুলি ইচ্ছেমতো শিক্ষকদের নিয়োগ দিচ্ছে। এর ফলে যাঁরা এসব পদে আগে থেকে রয়েছেন, তাঁদের যেমন-তেমন ছাঁটাই করা হচ্ছে। বেতনও মিলছে না সময়মতো।
এভাবেই গত বছরের অক্টোবর মাসে ২১৮ জন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টকে বিনা বেতনে ছাঁটাই করা হয়েছে। ছাঁটাইয়ের আগে ১৭ মাস ধরে তাঁরা বেতন পাননি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে মোট ১৪৫২ জন শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে। তাই বোনাসের পাশাপাশি সময়ে বেতন এবং স্থায়ীকরণের দাবিও মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাঁরা। এর আগে নিজেদের ন্য়ায্য দাবি পূরণে বাটি হাতেও রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।