শেষ আপডেট: 15th November 2019 12:54
এইভাবে নাগরিকদের সঙ্গে আচরণ করতে নেই, সুপ্রিম কোর্ট বলল ইডিকে
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কর্ণাটকে শাসক কংগ্রেস-জেডি এস জোটের ১৭ জন বিধায়ক যখন বিদ্রোহ করলেন, তখন সরকার বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, কংগ্রেসের 'ক্রাইসিস ম্যানেজার' ডি কে শিবকুমার। পরে তিনি টাকা তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হন। এখন তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট সুপ্রিম কোর্টে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে। বিচারপতিরা ইডিকে তিরস্কার করে বলেন, এইভাবে নাগরিকদের সঙ্গে আচরণ করা উচিত নয়। অভিযোগ, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরমের জামিনের বিরোধিতা করার জন্য যে যুক্তিগুলি দেখানো হয়েছিল, হুবহু সেগুলিই দেখানো হয়েছে শিবকুমারের ক্ষেত্রে। ইডির হয়ে এদিন শিবকুমারের জামিনের বিরোধিতা করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। বিচারপতি আর এফ নরিম্যান এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁর বক্তব্য শোনে। বিচারপতি নরিম্যান বলেন, "শবরীমালা নিয়ে আমাদের রায় পড়ে দেখুন। সরকারকে বলুন, সেই রায় যেন মেনে চলে।" শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের ঢুকতে দেওয়ার বিরোধিতা করে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছিল, সেগুলি সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিচারপতি নরিম্যান মন্তব্য করেছিলেন, নিরস্ত্র মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা নিয়ে কোনও সমঝোতা চলতে পারে না। কোনও ব্যক্তি বা সরকারি দফতর তা অমান্য করতে পারে না। সলিসিটর জেনারেল বিচারপতিদের বলেন, কারও যেন এমন ধারণা না হয় যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সরকার অমান্য করছে। বিচারপতি নরিম্যান বলেন, "মানুষ এখনই এই ধারণা পোষণ করেন। তা মুছে ফেলা যাবে না।" গত ৩ সেপ্টেম্বর শিবকুমার গ্রেফতার হন। ২৩ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। তখন বিচারপতিরা বলেন, জামিনে মুক্ত হলে শিবকুমার প্রমাণপত্র নষ্ট করতে পারবেন না। কারণ সেসব তদন্তকারী সংস্থার হাতে আছে।