মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 8th January 2025 14:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সরকারিভাবে এটাই জানেন সকলে। কিন্তু, নাহ, এটা ঠিক নয়!
বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে স্টুডেন্টস উইক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সামনে নিজেই একথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথায়, "আমরা তো সবাই হোম ডেলিভারি, আসল বয়সটা লুকিয়ে থাকে!" মমতা এও বলেন, "আমার বয়স ৫ বছর বাড়ানো আছে!"
সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্ম ১৯৫৫ সাল। অর্থাৎ তাঁর বয়স ৭০ বছর। পাঁচ বছর বাড়ানো থাকার অর্থ তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর এখন বয়স ৬৫! এদিন সেই জল্পনা উস্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ঘটনাটা জানানোর পর থেকে আসলটা জানার অনেক চেষ্টাও করেছি। আমার 'একান্তে' বইতে আমি এগুলো লিখেওছি। যতটা লেখা সম্ভব।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সবাই আমার জন্মদিন জন্মদিন করে, কিন্তু আমার এই জন্মদিন ভাল লাগে না। কারণ, আমরা তো সবাই হোম ডেলিভারি। নামও নিজে দিইনি, পদবীও নিজে দিইনি, বয়সও নিজে দিইনি!"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা। তাঁকে উঠে দাঁড়াতে বলে সকলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, "জন্মদিনের দিনটা আমার মোটেই পছন্দকর নয়। ওটা সার্টিফিকেটের বয়স। ওটা বাবা-মা করে দিয়ে গেছে। আমি জানতামও না। যখন কলেজে পড়ি তখন দাদা আমাকে একদিন বলল- তুই কি জানিস বাবা কী করে তোর বয়স দিয়েছে? সার্টিফিকেটে তোর আর আমার বয়সে ৬ মাসের ডিফারেন্স!"
'কীভাবে এটা হয়েছে জানেন?' খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন মমতা নিজেই, "দাদা বলল-বাবা স্কুলে গেল, বাবার একটা বন্ধু ছিল, তাকে বলল, তুমি একটা বয়স বসিয়ে দাও। তার তো কোনও দোষ নেই! বাবা বলেছে, সে বসিয়ে দিয়েছে। আগেকার দিনে এটা একটা প্রবেলম ছিল,. বাড়িতে যারা জন্মেছি, হোম ডেলিভারি, আসল বয়সটা লুকিয়ে থাকে, সার্টিফিকেটের বয়সটা মানুষ ধরে নেয়।"
মমতা আরও বলেন, "যাই হোক এগুলো ছোট্টবেলার ঘটনা, ছোটদের সামনেই ছোটবেলার ঘটনা বলা উচিত। তাছাড়া আজকে দাদা সামনে উপস্থিত রয়েছে, তাই সাক্ষী রেখেই আসল ঘটনা বললাম।"
খুব ছোট বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন মমতা। এদিন সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। বলেন, "বাবা যখন মারা যায় তখন আমি খুবই ছোট। অনেক কষ্ট করে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। ছোট থেকেই সংসারের হাল ধরেছিলাম।" মমতা বলেন, "আমি মনে করি, যেদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেব সেদিন আমার আসল জন্ম হবে!"