শেষ আপডেট: 7th February 2022 01:53
বহু গ্রামে কাজের হাহাকার বাংলায়, দিল্লির মুখ চেয়ে নবান্ন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনার কড়াকড়ি অনেকটা দূর হলেও আর্থিক অবস্থা এখনও আগের জায়গায় ফেরেনি। ফলে বহু মানুষের হাতে কাজ নেই। নেই রোজগার। এমন পরিস্থিতিতে কাজে আসতে পারত ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। কিন্তু সেখানেও কাজ বাড়ন্ত। ফলে কাজ চেয়ে হাহাকার তৈরি হয়েছে বহু গ্রামে। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যের জন্য চলতি আর্থিক বছরে যে পরিমাণ কর্মদিবস ও অর্থ বরাদ্দ করেছিল, গত অক্টোবরেই তা শেষ হয়ে যায়। তখন বরাদ্দ কর্মদিবসের পরিমাণ ছিল ২২ কোটি। রাজ্য সরকারের বিশেষ অনুরোধে আরও পাঁচ কোটি কর্মদিবস দিল্লি বরাদ্দ করে। সেই অতিরিক্ত বরাদ্দও শেষ হয়ে গিয়েছে গত মাসে। ফলে এই মুহূর্তে চাহিদা মতো কাজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় সোমবার বলেন, বিভাগীয় সচিব দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা চলতি আর্থিক বছরের জন্য আরও আট কোটি কর্মদিবস বরাদ্দের দাবি জানিয়েছি। পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, এখনই কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ বৃদ্ধি না করলে বহু মানুষ সমস্যায় পড়বে। রাজ্যের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, কেন্দ্র আগামী বছরের বাজেটে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায়। চলতি আর্থিক বছরে বরাদ্দ করা হয় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। তাতেই বহু রাজ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব। আগামী বছরের বাজেটে সেখানে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেটের দিনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলা বেশ কয়েকবার দেশে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। গত বছর এই রাজ্য গড়ে ৫৫ দিন কাজ দিতে পেরেছিল। এবছর এখনও পর্যন্ত গড় বরাদ্দ ৪৫ দিন হয়েছে।