শেষ আপডেট: 28th February 2024 18:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নামাজিপাড়ার বাসিন্দা বছর ৩৮ এর ঝর্না খাতুন। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, তাঁকে গলা টিপে খুন করেছে তাঁর স্বামী। খুনের নেপথ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা।
রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি গ্রামপঞ্চায়েতের মহান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ঝর্না। ১৯ বছর আগে এই মহিলার বিয়ে হয় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নামাজি পাড়ার বাসিন্দা উসমান গনি মহম্মদের। পেশায় দিনমজুর উসমান। এই দম্পত্তির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। একজনের বয়স ১৭ বছর অন্যজনের বয়স ১৩ বছর। দুই সন্তানকে নিয়ে ভালই কাটছিল দিন। সম্প্রতি ঘটে ছন্দপতন।
অভিযোগ, কোচবিহারের হলদিবাড়ির বাসিন্দা গোলাপি খাতুন নামে এক মহিলার সঙ্গে উসমান আলির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই ছিল। এরই জেরে খুন হতে হয়েছে ঝর্না খাতুনকে। বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। এরপর থেকেই উসমানের ফোন বন্ধ। বাড়িতে দুই নাবালিকা কন্যাকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে সকলে।
রাজগঞ্জের মহানপাড়া গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্দিক মহম্মদ বলেন, "আমাদের গ্রামের এক মেয়েকে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করেছে তার স্বামী। এর পেছনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তাই অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মৃতার পরিবারের সঙ্গে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় এসেছি।"
ঝর্নার বাবা তফিরুল মহম্মদ বলেন, "কিছুদিন ধরে আমার জামাই উসমান আলির সঙ্গে গোলাপি খাতুন নামে এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার মেয়ে এর প্রতিবাদ করেছিল। এরপর থেকে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু হয়। গত কয়েকদিন ধরে ঝগড়াঝাঁটি হচ্ছিল। গতকাল রাতে আবার নতুন করে অশান্তি হয়। আজ সকালে আমাদের কাছে খবর আসে আমার মেয়ে ফাঁসি দিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি মেয়ের দেহ মাটিতে নামান। গলা ফুলে আছে। আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। আমি আজ কোতয়ালি থানায় আমার জামাই ও গোলাপি খাতুন সহ মোট ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। আমি এদের শাস্তি চাই।"
এদিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু হবার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।