শেষ আপডেট: 14th January 2025 13:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর দিনাজপুর: জোড়া অভিযোগে জেরবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। রাজ্য়জুড়ে স্যালাইন বিভ্রাটের মধ্য়েই এবার স্যালাইনের অভাবে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে।
স্যালাইনের অভাব এবং চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে মৃত্য়ু হয় বছর ৫১-র হিরণ্ময় মোহান্তর। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরের শান্তি কলোনিতে। হিরণ্ময়ের শ্যালক দেবরঞ্জন দাস জানান, রবিবার রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হিরণ্ময়কে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পরে রোগীর হাতে স্যালাইন চ্যানেলের ব্যবস্থাও করা হয়। তবে তা দেওয়া হয়নি। ঠিকঠাক চিকিৎসাও হয়নি। এমনকি রাতে তাঁকে সিসিইউতে রেফার করা হলেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়নি। নেওয়া হলে হয়তো বেঁচে যেতেন তিনি।
রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় অবশ্য দাবি করেন, ওই রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয় এবং চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত ওয়ার্ডেই স্বাস্থ্য দফতর স্বীকৃত স্যালাইন মজুত রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ ঠিক নয়। স্যালাইন, ওষুধ সবই দেওয়া হয়েছিল। সিসিইউ-তে জায়গা না থাকায় সময় মতো পাঠানো যায়নি। তবে অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
হিরণ্ময় মোহান্তর মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য তৈরি হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। রোগীর আত্মীয়রা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পরে কর্তৃপক্ষের তদন্তের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
এর আগেই এই রায়গঞ্জ হাসপাতালেই অভিযোগ উঠেছিল, জরুরি বিভাগে হুইলচেয়ার না পেয়ে স্বামীকে পিঠে তুলে দোতলায় বহির্বিভাগে নিয়ে যেতে হয়েছে এক মহিলাকে। রায়গঞ্জের রায়পুরের বাসিন্দা বছর চুয়ান্নর ওই ব্যক্তির নাম পরিতোষ বর্মণ। তাঁর স্ত্রী সলিতা বর্মণ বলেন, "ঘরের চাল ভেঙে পড়ে আমার স্বামীর দু’পায়ে চোট লাগে। হাসপাতালে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও হুইলচেয়ার পাইনি। তখন ওঁকে পিঠে করে দোতলায় নিয়ে গিয়েছি। খুব কষ্ট হয়েছে। কিন্তু কিছু করার ছিল না।’’ যদিও সুপারের জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত হুইলচেয়ার রয়েছে। কেন উনি হুইলচেয়ার পেলেন না তা বুঝতে পারছি না। বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর দাবি, মেডিক্যালে কোথাও হুইলচেয়ারের অভাব থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।