শেষ আপডেট: 16th November 2021 03:50
ক্যাম্পাস মানে পড়াশোনা এবং ....
কৌশিকী সরকার
বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের এমএসসির এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের পড়ুয়া
প্রায় দু’বছর পর ফেরা। ক্লাস, আড্ডা, বন্ধুদের হুল্লোড়— যেন প্রাণ ফিরল ক্যাম্পাসে। সঙ্গে আমারও। অনুশ্রী, প্রজ্ঞা, সোমাশ্রী, প্রদীপ্তর সঙ্গে এতদিন ফোনে, জুম বা গুগল মিটে কথা হচ্ছিল। বহুদিন পর দেখা হল। প্রচুর সেলফি তুলেছি। ক্যান্টিন বন্ধ ছিল। তাই ক্যান্টিনের সামনে বসেই সবাই মিলে বাড়ি থেকে আনা টিফিন ভাগাভাগি করে খাওয়া হল। দীর্ঘদিনের জমে থাকা কথার ডালি খুলে বসেছিলাম সবাই। তবে আগের মতো অফলাইন ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসও চলবে। কলেজে আসাটা বাধ্যতামূলক নয়। অনলাইনে আমার কোনও সমস্যাও হচ্ছিল না। তবে একটানা বাড়িতে থেকে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। করোনা ভীতি কাটিয়ে পয়লা দিনে স্কুল- কলেজে হাজিরা ভালই, ফিরল খানিক ব্যবসাও আজ ক্লাসে পড়ার চেয়ে গল্পগুজব বেশি হয়েছে। একটা ডেস্কে একজন করেই বসার ব্যবস্থা। তাই হাত নেড়ে দূর থেকেই একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। শিক্ষকরা আমাদের সবার খোঁজ নিয়েছেন। ভবিষৎতের পড়াশোনা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেছেন। তাঁদের কাছেও আজকের দিনটা বিশেষ। তাই ক্লাসের গুরুগম্ভীর ব্যাপারটা ছিল না। সবার মুখেই ডবল মাস্ক ছিল। একটু কষ্ট হলেও সবমিলিয়ে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আমাদের ক্যাম্পাস এমনিতেই বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এখন আরও জোর দেওয়া হয়েছে। আমি চেষ্টা করব রোজ কলেজ যাওয়ার। আমার বাড়ি সোদপুর পানিহাটি এলাকায়। আজ ক্লাস করে সারাদিন পর বাড়ি ফিরেছি। অথছ একটুও ক্লান্ত লাগছে না। সারাটা দিন কোথা দিয়ে কাটল বুঝতেই পারলাম না। তবে এখনই কলেজের পর বন্ধুদের সঙ্গে আউটিংয়ের প্ল্যান নেই। সবাই কাজ মিটে গেলে যে যার বাড়ি। ক'য়েকদিন যাক। সব ঠিকঠাক থাকলে তখন কলেজের পর হয়ত কোথাও বেরোবো। বিএসসি লাস্ট ইয়ারের পরীক্ষার আগেই আমার কলেজ বন্ধ হয়। বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী করব! খুব খারাপ লাগছিল। পাশাপাশি ভয়ও লাগছিল। এরপর অনলাইন পড়াশোনা শুরু হল। মানিয়ে নিতে বেশ সময় লেগেছে। তবে এখন প্রযুক্তিরও অনেক উন্নতি হয়েছে। সেটাও একটা ভালো দিক। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যেসে ধাক্কা লাগাটাও একটা ব্যাপার। এখন কোভিড প্রোটোকল মেনেই আমাদের চলতে হবে। এছাড়া উপায় নেই। এরমধ্যে আর যেন কোনও ছন্দপতন না ঘটে, এটাই চাই মনেপ্রাণে। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'