শেষ আপডেট: 28th August 2021 17:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো : এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ওই হিংসায় জড়িত সন্দেহে এক পুরুষ ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করে। একসময় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয় এই রাজ্যে। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফেও ১০ টি মামলা করা হয়। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৫ টি স্থানে তল্লাশি করেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের বিবৃতিতে এদিন বলা হয়, "মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরও ১০ টি মামলা করা হয়েছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় নানা অভিযোগে যে মামলাগুলি করা হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।" শনিবার যে মামলায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ২৫ অগাস্ট মামলা করেছিল সিবিআই। অভিযোগ, তিন ব্যক্তি গত ১৪ মে নদিয়ার চাপড়ায় লোহার চপার দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন। ধৃত দু'জনের নাম বিজয় ঘোষ ও অসীমা ঘোষ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪ নম্বর ধারা (কয়েকজন মিলে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও কাজ করা), ৩০৭ নম্বর ধারা (খুনের চেষ্টা) ৩২৫ নম্বর ধারা (ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে গুরুতর আঘাত করা), ৩২৬ নম্বর ধারা, (মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাউকে আঘাত করা) এবং ৩৪১ নম্বর ধারায় (কাউকে বেআইনিভাবে বাধা দেওয়া) মামলা করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল, বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে খুনজখম, ধর্ষণ ও মহিলাদের বিরুদ্ধে আরও নানা যে অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তদন্ত করতে হবে। অন্যান্য মামলাগুলির জন্য হাইকোর্ট একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে। তাতে রয়েছেন পুলিশ কমিশনার সহ আরও কয়েকজন আইপিএস অফিসার। তাঁরা ছয় সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেবেন। সিবি আইয়ের চারটি টিম বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে তদন্ত করছে। প্রতিটি টিমে আছেন সাতজন করে আধিকারিক। যে সব অঞ্চল থেকে হিংসার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে সিআরপিএফের চারটি কোম্পানি। একটি টিম গিয়েছে শোভারানি মণ্ডলের বাড়িতে। তিনি ভোটের ফল বেরোনর পরে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে খুন হন।