ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 4 May 2024 09:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টানা প্রায় এক মাস ধরে তীব্র গরমে নাস্তানাবুদ হাল বঙ্গবাসীর। বাতাসে গরম হল্কা, গায়ে ফস্কা পড়ার জোগাড়! অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবারও তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা থাকছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর ও দুই বর্ধমান জেলাতে। তবে শনিবার বিকেলের পর থেকেই পরিস্থিতির বদল ঘটবে।
এদিন বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বৈশাখের প্রথম কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার জেলায়ও। রবিবারের পর থেকে আর তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই কোথাও।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৪৬ থেকে ৭৮ শতাংশ।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে বিপরীত ঘূণাবর্তের প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। তার ফলে শনিবার থেকে আবহাওয়ার গতিপথের বদল ঘটবে। তারই প্রভাবে রবিবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে।
রবিবার থেকে রাজ্যের উপকূলের ও পূর্ব দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি বাড়বে সোম ও মঙ্গলবার। ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে বৃষ্টি বেশি হতে পারে। আগামী সপ্তাহে সমুদ্রে আবহাওয়া খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে আবহাওয়া দফতরের তরফে ৬ এবং ৭ মে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদহে কাহিল গোটা বাংলা। উত্তরের দুই পাহাড়ি জেলা ছাড়া বাকি সব জায়গাতেই চলছে কম-বেশি তাপপ্রবাহ। গত ৩০ এপ্রিল কলকাতার তাপমাত্রা ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে পৌঁছে যায় ৪৩ ডিগ্রিতে।