শেষ আপডেট: 1st December 2021 17:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টিউশন ফি (fee) বাকি থাকায় তাদের সন্তানদের (wards) অনলাইন ক্লাসে (online class) যোগদান, পরীক্ষায় (exam) বসতে দিচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ (school) , অভিভাবকদের (guardians) তরফে বারেবারে এহেন অভিযোগ পেয়ে কয়েকটি নামী বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে ২০১৫র জুভেনাইল জাস্টিস আইনের (juvenile justice act) ৭৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের অভিযোগে উল্টোডাঙ্গা থানায় এফআইআর(fir) দায়ের করেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (wbcpcr)। কাঠগড়ায় ওঠা স্কুলের তালিকায় আছে বেলঘড়িয়ার অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উত্তরপাড়া হিন্দমোটরের এইচ এম এডুকেশন সেন্টার ও জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন। স্কুলগুলিকে অবিলম্বে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চেয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে কমিশন। অ্যাডামাস ও এইচ এম এডুকেশন সেন্টারের উভয় পক্ষেরই বক্তব্য শোনার পর কমিশন ক্ষুব্ধ। কমিশনের অভিমত, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের পড়ুয়াদের প্রতি অযৌক্তিক আচরণ করছে যাতে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই। স্কুলগুলি ২০০৯ সালের শিক্ষা অধিকার আইনের ধারাও ভেঙেছে বলে কমিশন জানিয়েছে কেননা কর্তৃপক্ষ শিশুদের শিক্ষার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের গত ১ অক্টোবরের রায়ও স্কুলগুলি অগ্রাহ্য করেছে যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ একজন পড়ুয়াকেও স্কুলের কোনও বোর্ড অথবা বার্ষিক বা মধ্যমেয়াদের মূল্যায়ন পরীক্ষায় বসা থেকে এখনকার মতো বাধা দিতে পারবে না। তবে কমিশনের চাপে শেষ পর্যন্ত এইচ এম এডুকেশন সেন্টার স্কুল কর্তৃপক্ষ পডুয়াদের ওপর থেকে সাসপেনশনের আদেশ প্রত্যাহার করেছে। ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকরাই কমিশন এখবর দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৭৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনও শিশুকে ইচ্ছে করে অবহেলা, উপেক্ষা করা যাবে না, এমন আচরণ তার সঙ্গে করা চলবে না যাতে সে মানসিক বা শারীরিক আঘাত পায়। এমন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা একসঙ্গে দুটোই হতে পারে।