শেষ আপডেট: 15th July 2023 11:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোট মিটলেও শান্তি ফেরেনি। বরং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সামনে আসছে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা। হাওড়ার আমতায় শুক্রবার রাতে বিজেপির একাধিক কর্মী সমর্থকের ঘরবাড়ি-দোকান লুঠপাট চালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীরও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ঘটনাস্থলে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পোড়া ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়েই বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘ভোট লুঠ করেও তৃণমূলের শান্তি হয়নি। আর একটা বগটুই করতে চেয়েছিল।’ যদিও শাসকদলের তরফে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, হাওড়ার আমতায় এবারে ভোটই করতে দেয়নি তৃণমূল। ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। এমনকী ভোট মিটতেই বিজেপি প্রার্থী কল্পনা রায়, ঝুমা রায় সহ বিজেপির ৭ জন কর্মী, সমর্থকের বাড়িতে শুক্রবার রাতে হামলা চালায় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দুর অভিযোগ, থানার ওসি এবং বিডিও-র প্রশ্রয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা তাণ্ডব চালাচ্ছে। শুক্রবার রাতে এলাকার সাতটি বাড়িতে হানা দিয়ে যাবতীয় লুঠপাট চালানোর পর তাদের সকলকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে বাইরে থেকে শিকল তুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘খবর দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। তৃণমূল আর একটা বগটুই করতে চেয়েছিল। সোমবার আদালতে যাব।’ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে 'খুনী মমতা নিপাত যাক' স্লোগানও তোলেন বিরোধী দলনেতা।
বস্তুত, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূমের দুবরাজপুর থানার বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। প্রতিশোধ নিতে ওইদিন রাতেই ১২টি ঘরের বাইরে থেকে শিকল তুলে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ভাদু অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় দশজনের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ধরণ বোঝাতে শুভেন্দু বগটুইয়ের উদাহরণ টেনেছেন। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কেউ জডিত নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বরা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, ভোটে হেরে মুখ বাঁচাতে বিজেপি নিজেরাই নিজেদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে নাটক করছে ।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ ন্যাকা ষষ্ঠী’, কুণালের হুঁশিয়ারির পরই নন্দীগ্রামে তৎপর পুলিশ, গ্রেফতার ২ বিজেপি কর্মী