শেষ আপডেট: 19th May 2023 09:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: ছিলেন রুপোলি পর্দার ভিলেন (villain)। সিনেমায় (Bengali Cinema) তাঁর অভিনয় দেখে রীতিমতো ভয় পেত বাচ্চারা। সেই ভয়ঙ্কর খলনায়ক আজ বড়পর্দা থেকে কয়েক লক্ষ যোজন দূরে। ধীরে ধীরে কাজ কমেই আসছিল। আর করোনা পরবর্তী সময়ে একেবারেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। একটা ছোট্ট চায়ের দোকান চালিয়েই তিনি দিন গুজরান করেন। তবে হাবরা এলাকায় এখনও 'ভিলেন কাশী' (Habra tea seller) নামেই পরিচিত তিনি। পুরো নাম কার্তিকচন্দ্র সাহা। তবে সেই চায়ের দোকানেও তাঁকে দেখলে চমকে যান সবাই। শরীরে এখনও ফোটানো রয়েছে ১০০টির মতো ‘পিয়ার্সিং পিন’। আর সেগুলির সিংহভাগই মুখমণ্ডলে।
কেন এমন সাজ থাকে তাঁর? 'ভিলেন কাশী'র বক্তব্য, এটাই তাঁর দোকানের মূল আকর্ষণ। গোটা শরীরে পিয়ার্সিং করেই চা বিক্রি করেন তিনি। আর সেটা দেখতেই উৎসাহী মানুষজন ভিড় জমান তাঁর দোকানে। একসময় ক্যারাটে করেই সুযোগ পেয়েছিলেন সিনেমায়। মাঝে তা থেমে গিয়েছিল। এখন দোকান সামলানোর মাঝেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে আবারও ক্যারাটের তালিম নিচ্ছেন তিনি।
হাবরার আশুতোষ কলোনির বাসিন্দা কার্তিকচন্দ্র সাহা, বয়স এখন ৪৪। চায়ের দোকান সামলালেও এখনও তাঁর স্বপ্ন সেই বড়পর্দাই। আসলে স্কুলের পড়তে পড়তেই রুপোলি পর্দার জীবন শুরু হয়েছিল কাশীর। পাশাপাশি বাবার সঙ্গে ব্যবসার কাজও দেখতেন। পরে শুরু করেন ক্যারাটের প্র্যাকটিস। এরপরই এক ব্যক্তির সহযোগিতায় একটি সিরিয়ালে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি। তারপর একে একে অজস্র সিনেমা, সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি।
সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে ইতিমধ্যে দেশের বহু জায়গা, এমনকী বিদেশও ঘুরে ফেলেছেন কাশী। কিন্তু করোনার পর থেকে সবই হারিয়ে ফেলেন তিনি। শেষে আবারও বাবার পুরনো গুমটিই খুলে বসেন। শুরু করেন চা বিক্রি। এক সময়ের পর্দার ভিলেনকে চা বিক্রি করতে দেখে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে। তবে কাশী এখনও দোকান সামলে শখের স্টান্ট শো ও নাচের অনুষ্ঠান করেন। শয়ে শয়ে দর্শকদের সামনে মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে বুকে ভাঙেন টিউবলাইট।
কান, নাক, ঠোঁট, ভ্রু, গাল- সর্বত্রই পিয়ার্সিং করা রয়েছে তাঁর। যদিও এটাই তাঁর দোকান এবং শরীরের মূল আকর্ষণ, তবে এর জন্য অনেক সমস্যাও পোহাতে হয় কার্তিকচন্দ্র সাহাকে। কাশীর কথায়, "এত পিয়ার্সিংয়ের কারণে আমি চিৎ হয়ে ছাড়া ঘুমাতে পারি না। প্রথম শুধু নাকে-কানে পিয়ার্সিং করেছিলাম। পরে সেটা নেশায় পরিণত হয়। এখন গোটা শরীরে রয়েছে অসংখ্য পিয়ার্সিং ও দুল। আমার ইচ্ছা স্টেজেই যেন আমার মৃত্যু হয়।"
ঘন সবুজ পোশাকে অ্যাশ যেন বনদেবী! মেয়ের সঙ্গে কান-এর মঞ্চে বচ্চন সুন্দরী