শেষ আপডেট: 14th February 2025 19:34
শুক্রবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালবাসার দিন। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই শিলিগুড়ির কলেজপাড়ায় একাধিক পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পোস্টারে লেখা, 'রোহন ইউ চিটেড অন মি!' যার বাংলায় অর্থ "রোহন তুমি আমাকে প্রেমে আঘাত দিয়েছো, এই রইল তোমার ছবি। যা এখন সকলেই দেখবে।” লেখার ঠিক নীচে একটি কিউআর কোডও নজরে আসে।
ওই পোস্টার সাঁটা হয় এলাকার বিভিন্ন বাড়ির দেওয়াল, গাছ ও ইলেকট্রিক পোলে। শুক্রবার সকালে শিলিগুড়ি কলেজ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় রোহন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে একের পর এক পোস্টার। তবে অনেকেই উৎসাহিত হয়ে বার কোডটি স্ক্যান করতেই অবাক কান্ড! করে। বেরিয়ে আসছে একটি হোয়াটস অ্যাপ বিজনেস অ্যাকাউন্ট। যেখানে রয়েছে নানান ধরনের ফুলের ছবি। লেখা রয়েছে দামও। প্রেম দিবসে প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরকে ফুল দিতে চাইলে সেই নাম্বারে যোগাযোগ করার বিজ্ঞাপনও রয়েছে।
তবে উৎসাহিত হয়ে বার কোড স্ক্যান করে ছবি দেখতে না পেরে শেষমেশ পোস্টারটি কয়েকজন ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের মতে, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে কিছু যুবক এসে এই পোস্টার লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
ভালোবাসার সপ্তাহে এমন মজার ঘটনা নিয়ে শহরজুড়ে চলছে চর্চা। কেউ বিষয়টিকে ব্যবসার নতুন চিন্তাভাবনা বলে মনে করলেও অনেকেই এটাকে সাইবার প্রতারকেদের নয়া জাল বলে মনে করছেন। কেউ আবার নিছকই মজা হিসেবে বিষয়টি দেখছেন। কিউআর কোডে দেওয়া মোবাইল নম্বরে অনেকেই ফোন করেন। কিন্তু বারবার রিং হলেও ফোন কেউ রিসিভ করেননি বলে তাঁরা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র ঠিক আগে এমন অভিনব পোস্টার ঘিরে পথচলিত লোকজনের মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলেজপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ প্রথমে এমন পোস্টার দেখেন। কলেজের গেটের গায়েও ছিল এমন পোস্টার। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের বাড়ির পাশের গলিতে কমার্স কলেজের পিছনের রাস্তায় একাধিক গাছে, বিদ্যুতের পোলে এই পোস্টার সাঁটানো ছিল। এদিন কলেজের পিছনের রাস্তায় পাইপ বসানোর কাজ করছিলেন একটি এজেন্সির লোকজন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হলে জানা যায়, সকালে কয়েকজন কম বয়সি ছেলেমেয়ে এলাকাজুড়ে পোস্টার সাঁটিয়ে চলে যায়। বিষয়টি বুঝতে না পেরে প্রথমদিকে ওই এজেন্সির শ্রমিকরাও খুব একটা পাত্তা দেননি।
পুলিশ অবশ্য অচেনা, অজানা কিউআর কোড স্ক্যান করা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, এই ধরনের কিউআর কোড স্ক্যান করা একেবারেই ঠিক নয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে কে বা কারা কেন এমন কিছু করল তা দেখা হবে। সকলকে সচেতনও করা হবে এমন কিউআর কেউ যেন স্ক্যান না করেন।