শেষ আপডেট: 14th May 2018 15:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্ষমতায় আসার পর সাত বছর পার হয়েছে। যত দিন গড়িয়েছে শক্তি বেড়েছে তৃণমূলের। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রী, যোগ দিয়েছেন মা-মাটি-মানুষের দলে। এমন কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের তিন স্তরে ৩৪ শতাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা। তা সত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের বলি হলেন তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। তবে কি অন্য সমীকরণ কাজ করছে? তৃণমূল নেতারা বলে থাকেন যে বিরোধীরা এ রাজ্যে হালে পাণি পায় না। তাই সন্ত্রাস, হিংসার কুৎসা রটায় তারা। রাজ্যের মানুষ শাসক দলের পাশে রয়েছেন। তাই জয়ের ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত। ভোটের দিন সকাল থেকে কিন্তু ছবিটা কোথাও কোথাও একটু আলাদা। রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় আক্রান্ত হয়েছেন বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকেরা। কিন্তু কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে উলোট পুরাণ। বেশ কিছু জায়গায় হামলার শিকার হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। মারা গিয়েছেন প্রায় ছ'জন তৃণমূল কর্মী। বিরোধী দল ছাড়াও অভিযোগ উঠেছে নির্দল প্রার্থীদের উপরেও। অভিযোগ, অনেক জায়গাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের ফলে দল ছেড়ে বেরিয়ে প্রার্থী হয়েছেন অনেক প্রাক্তন তৃণমূলী। এলাকায় নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছেন তৃণমূলের উপরেই। ভোট শেষে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে তাঁদের দলের কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন বেশি। এমন কি মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ভোটের পর যদি বিরোধী দল থেকে কেউ তৃণমূলে যোগ দিতে চান, তাঁরা দলে স্বাগত। কিন্তু কোনও নির্দল প্রার্থীকে দলে নেবেন না তাঁরা। তবে কি নির্দল প্রার্থীদের (পড়ুন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের) সরাসরি বার্তা দিলেন পার্থ বাবু? দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলে আর জায়গা হবে না দলে? তবে কি এখন রাজ্যে এখন শাসকদলের অন্যতম প্রধান বিরোধী হয়ে উঠেছে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরাই?