শেষ আপডেট: 24th June 2023 09:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় তৃণমূলের প্রচারে গিয়ে দলের পুরনো কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল কুণাল ঘোষকে। একটি বাজার এলাকায় কুণাল পৌঁছতেই পুরনো দিনের কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে জানান, এখন যাঁরা দল চালাচ্ছেন তাঁরা একু খবরই দিচ্ছেন না কর্মসূচির।
ওই জটলার মধ্যে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনে কুণাল অনুরোধ করেন সভায় আসার জন্য। পরে অনেকেই সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। মঞ্চ থেকে ভাষণ দেওয়ার সময়ে কুণাল বলেন, ‘দলের পুরনো দিনের কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের ক্ষোভ সঙ্গত। যাঁরা দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের দায়িত্ব রয়েছে সবাইকে কর্মসূচির খবর দেওয়ার।’
কুণাল এদিন মেনে নেন, ময়নার স্থানীয় নেতৃত্বের ত্রুটি রয়েছে। সেইসঙ্গে এও বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়েই পঞ্চায়েত ভোট লড়তে হবে। একুশের ভোটে এই ময়না জিতেছিল বিজেপি। সেখানকার বিধায়ক বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। অনেকের মতে, কুণালও হয়তো বুঝেছেন এই মাটিতে পুরনোদের গুরুত্ব না দিলে পঞ্চায়েতে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল।
অন্যদিকে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর ক্ষোভ যেন নিভছেই না। ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি ফের লিখেছেন, দলের চিহ্ন পাওয়া এক প্রার্থীকে হারাতে দলেরই একাংশ নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে মাতামাতি করছে। দু’দিন আগেই মনোরঞ্জন ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি তৃণমূলের দু’টি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এও বলেছিলেন, পেনশন চালু হয়ে গেলে বিধায়ক পদটাও ছেড়ে দেবেন। এখন ছাড়তে পারছেন না, তাহলে খাবেন কী? বিধায়কের ভাতাই এখন তাঁর ভরসা।
বলাগড়ের তৃণমূল ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনোরঞ্জনের সংঘাত। সরাসরি ব্লক সভাপতিকে চোরও বলেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়। মনোরঞ্জনের অভিযোগ, টিকিট বিক্রি করেছেন ব্লক সভাপতি। পাল্টা নবীন বলেছেন, গরমে বিধায়কের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।
বিরোধী জোট: ‘গণশক্তি’র ফ্রেমে নেই মমতা, ‘জাগোবাংলা’র ছবিতে বাদ রাহুল-সীতারাম