শেষ আপডেট: 10th August 2022 05:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: ভরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ককে (TMC) ‘মাতাল’ বললেন খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। এতে শাসকদলের অস্বস্তি আরও বাড়ল।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ফুটবল ময়দানে। মঙ্গলবার বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে সেখানেই স্থানীয় চা বাগান গুলির আদিবাসী সমাজের মানুষদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজক ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার এসসিএসটিওবিসি সেলের জেলা সভাপতি তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। উপস্থিত ছিলেন পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম।
রায়পুর চা বাগান দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। সভামঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠে তা নিয়েই আক্ষেপ করেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। তারপরেই বলেন, ‘আমাদের বিধায়ক মাতাল, ওঁর কথা বাদ দিন। উনি নিজের ঘরই সামলাতে পারেন না, আমাদের কথা কী ভাববেন?’
ভরা মঞ্চে তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতেরই এমন মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল। সভাতেও হাসির রোল ওঠে। যদিও তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে, প্রধান মুখ ফসকে এ কথা বলে ফেলেছেন। উল্লেখ্য, রাজগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁর সম্পর্কেই এই মন্তব্য করেছেন প্রধান হেমব্রম।
প্রধান হেমব্রম আরও বলেন, ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চা বাগানে এসে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। আদিবাসীদের ভোট নিয়ে চলে যান নেতারা, তবু চা বাগান খোলে না। তাঁর আক্ষেপ, তাঁদের গ্রামে ছেলেমেয়েদের পড়ানোর জন্য একটি হিন্দি স্কুলও নেই।
আয়োজক কৃষ্ণ দাস বলেন, চা বাগান নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই হয়তো সুখবর মিলবে। চা বাগানের মাঝে আদিবাসীদের সঙ্গে মিলেমিশেই সকলে ছোট থেকে বেড়ে উঠেছে। তাই তাঁদের সংস্কৃতি ধরে রাখা সকলের কর্তব্য। সেই উদ্দেশেই গত ৫ বছর ধরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার চা বাগানগুলিতে সুন্দরী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি বলে আক্ষেপও করেন তিনি।
রাজগঞ্জ আদিবাসী মঞ্চের পক্ষ থেকে আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হয়েছিল। এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আদিবাসী নাচে-গানে জমজমাট অনুষ্ঠানও হয়। সেসবের মাঝেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের মন্তব্যে অস্বস্তির কাঁটা বিঁধে রয়েছে তৃণমূলের গলায়।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার ক্যানিংয়ে নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত