শেষ আপডেট: 26th September 2023 10:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রার্থীপদ থেকে পদাধিকারী, লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের অভিযোগে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। ইদ্রিসের আগে একই প্রশ্ন তুলেছিলেন রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এভাবে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে বিধায়কদের মন্তব্যকে ঘিরে তৃণমূলের (TMC) অন্দরেই শৃঙ্খলা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shovandev Chatterjee)।
মঙ্গলবার শোভনদেবের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য লিখিতভাবে জানিয়েছেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক। তবে ইদ্রিসের এমন মন্তব্যে দল যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ এদিন সেটা স্পষ্ট করে শোভনদেব বলেন, “এই বিচ্যুতি থেকে বেরোতে তৃণমূলের পার্টি ক্লাস করা দরকার। (Tmc needs party class to come out of deviation)”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, শোভনদেবের এমন ইঙ্গিত থেকেই স্পষ্ট দলের অন্দরে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার তৎপর হবে তৃণমূল। বস্তুত, এর আগে দলের সমাবেশ থেকে এই বিষয়ে একাধিকবার মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তূণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ থেকে দলের একাংশের বিচ্যুতির প্রসঙ্গে নেত্রী বলেছিলেন, “মনে রাখবেন মানুষই শেষ কথা বলে, তাই তৃণমূল করতে হলে আরও বেশি করে জনস্বার্থে কাজ করতে হবে।”
একই সঙ্গে দলের বিরুদ্ধে আলপটকা মন্তব্য করা নিয়েও সকল স্তরের নেতা, কর্মীদের সতর্ক করে বলেছিলেন, “দলকে কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা বরদাস্ত করব না। কারও বিরুদ্ধে কারও কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যেই বলতে হবে।” এজন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিও গড়েছিলেন নেত্রী। সূত্রের খবর, এবার সক্রিয় হবে এই কমিটি। মঙ্গলবার সেটাই স্পষ্ট করেছেন শোভনদেব।
পঞ্চাযেতের বিভিন্ন স্তরের পদ ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গত শুক্রবার দলের একাংশ নেতৃত্বর বিরুদ্ধেই আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছিলেন ভগবানগোলার বিধায়ক। ইদ্রিস বলেছিলেন, ‘‘টাকার বিনিময়ে সভাপতি, সহকারী সভাপতির নামও বদলে দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, ১০-১৫ লক্ষ টাকা করে নিয়ে এ সব করা হয়েছে। এ সব আমি নেতৃত্বের নজরে এনেছি। সর্বোচ্চ স্তরেও জানাব।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সততার প্রতীক’ হলেও দলের অন্দরে এমন দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ইদ্রিস। বস্তুত, ইদ্রিস একা নন, সাম্প্রতিক অতীতে দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এই তালিকায় রয়েছেন আরও একাধিক বিধায়ক। শৃঙ্খলা ফেরাতে নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ করেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুন: ছাত্র গড়তে কীসের সার্টিফিকেট! রাস্তায় না বসে আন্দোলনকারীদের স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ স্পিকারের