শেষ আপডেট: 23rd July 2023 14:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সন্ধে নামলে বাতিস্তম্ভের আলো জ্বলে না। তাতে সমস্যায় পড়ছেন এলাকার মানুষ। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বার বার পথবাতিগুলি (Street Light) মেরামত করার আর্জি জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুরসভা। এবার স্থানীয়দের হয়ে তৃণমূল পরিচালিত বর্ধমান পুরসভার (Bardhaman Municipality) চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ারি দিলেন দলেরই এক কাউন্সিলর (TMC Councilor)।
নরুল সাহেব বর্ধমান পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর। তাঁর অভিযোগ, এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার লাইট জ্বলছে না। রাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকছে পথ-ঘাট। বারবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকী বর্ধমান স্টেশনের পাশে নতুন রেলের উড়ালপুলের আলোও অধিকাংশ দিনই জ্বলে না। তাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে এলাকায় অসামাজিক কাজও বাড়ছে বলে তাঁর দাবি।
তিনি জানান, তিনমাস আগে ঝড়ে উড়ালপুলের বেশ কয়েকটি বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে গেছিল। এখনও সেগুলি মেরামত করা হয়নি। চেয়ারম্যানকে একাধিকবার চিঠি দিলেও কাজ হয়নি। ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভগুলি উড়ালপুলের উপর বিপজ্জনকভাবে পড়ে আছে। সন্ধে নামলেই ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট অন্ধকারে ঢেকে যায়। এমনকী ট্রাফিক কলোনি, শোলাপুকুর মসজিদ সবই অন্ধকারে রয়েছে। এই কারণে প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। হচ্ছে প্রাণহানিও। অভিযোগ, তবুও হেলদোল নেই পুরপ্রধানের।
স্থানীয়দের অসুবিধার কথা ভেবেই তিনি চেয়াম্যানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাত দিনের মধ্যে যদি আলো না জ্বলে তাহলে এলাকার মানুষজনকে নিয়ে গিয়ে পুরসভা ঘেরাও করবেন। চেয়ারম্যান পুরসভায় আসবেন ঠিকই কিন্তু বেরোতে পারবেন না। একেবার অবরুদ্ধ করে রেখে দেওয়া হবে। নুরুল আলম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'যতক্ষণ না লাইট লাগানো হবে, ততক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকবেন চেয়ারম্যান।'
নিজের দলের কাউন্সিলরের এই হুঁশিয়ারির পরেই বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, 'তিনি কী বলেছেন, কেন বলেছেন জানি না। তবে পুরএলাকার সমস্ত ওয়ার্ডেই নিয়ম মেনে পথবাতি লাগানো হয়। এই বিষয়গুলি দেখভালের জন্য এজেন্সি আছে। আমরা পুরসভা থেকে শুধু জিনিসপত্র সরবরাহ করি। ওই এলাকায় কী কারণে লাইট লাগানো হয়নি তা খতিয়ে দেখা হবে। কী অসুবিধা হয়েছে সোমবার অফিস খুললে আমি খবর নেব।'
বর্ধমান পুর এলাকায় বহু জায়গায় নিয়মিত বাতিস্তম্ভ জ্বলে না, এই অভিযোগ নতুন নয়। এই নিয়ে পুরসভার নাগরিকরা বারেবারে সরব হয়েছেন। তবুও অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। শহরের মধ্যে জিটি রোডের বহু জায়গায় আলো নেই। সন্ধের পর থেকেই অন্ধকারে ডুবে যায় চারপাশ।
খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাঁচ কুকুরকে মেরে ফেলার অভিযোগ, উত্তেজনা রানাঘাটে