শেষ আপডেট: 14th January 2022 11:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা কর্পোরেশন ভোটের আগে মহারাষ্ট্র নিবাস হলে সমস্ত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, জবরদস্তি ভোট করা যাবে না। অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতে হবে। বিরোধীদের বক্তব্য, গত পুরভোটে বিধাননগরে সন্ত্রাসের নয়া নজির সৃষ্টি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রকাশ্য রাস্তায় সমাজবিরোধীদের আস্ফালন ধরা পড়েছিল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। এবার সেই বিধাননগরে দাঁড়িয়েই অভিষেকের কথা উল্লেখ করে শান্তিপূর্ণ ভোটের ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। এদিন বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগর পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল। সেই অনুষ্ঠানেই সৌগত রায় বলেন, 'অতীতের কথা ছেড়ে দিন। ওসব আর হবে না। বিধাননগরে যা কাজ হয়েছে, জবরদস্তির দরকার নেই। গণ্ডগোলের দরকার নেই। যে বা যারা গণ্ডগোল করবে, তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।' দমদমের প্রবীণ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, 'তিনি এই নির্দেশ আগেই দিয়েছেন। সেটা দলের নেতা কর্মীদের মাথায় রাখতে হবে।' গতবার বিধাননগরের পুরভোটে ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছিল। এমনও দেখা গিয়েছিল, ফাল্গুনী, লাবণীর মতো আবাসনে ঢুকে ভোটারদের শাসানো হচ্ছে। তাঁরা যাতে কেউ বুথ মুখো না হন। যাঁরা একটু সাহস নিয়ে রুখে দাঁড়াচ্ছিলেন, তাঁদের কপালে জুটছিল বেধড়ক মার। সল্টলেকের পাড়ায় পাড়ায় হাতে উইকেট, হকিস্টিক, বাঁশ নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছিল ভোট বাহিনী। অনেকের মতে, সৌগত রায়ের কথাতেই স্পষ্ট, গতবারের নির্লজ্জ ছবি এবার আর দল ফেরাতে চায় না সল্টলেকের মাটিতে। অনেকের বক্তব্য, বিধাননগরে বললেও একথা বাকি তিন জায়গার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'এসব লোক দেখানো। কলকাতাতেও ভাইপো গালভরা গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন। তারপর দেখা গিয়েছে কী পরিমাণ লুঠ হয়েছে।'