শেষ আপডেট: 26th September 2023 05:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মশা যেন থিকথিক করছে চারদিকে। ডেঙ্গির মশা (mosquito) তো আনাচ কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। ম্যালেরিয়ার মশাও কম নয়। বর্ষা আসতেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। এদিকে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ জেলের বন্দিরাও। দিনভর মশার কামড় আর ভনভনাতিতে বন্দিদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। সন্ধে নামলেই ঝাঁকে ঝাঁকে এসে তারা হামলা করছে। মশা মারতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন্দিদের। তার উপর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার আতঙ্কও ছড়িয়েছে। তাই মশা থেকে নিষ্কৃতি পেতে এবার কোমর বেঁধে নেমেছেন জেলবন্দিরা।
এই ধূপের ধোঁয়া ক্ষতিকর নয়। তাছাড়া কিছুক্ষণ জ্বালিয়ে রাখলেই নাকি মশার (mosquito) দল চম্পট দিচ্ছে। রাতে এখন নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছেন সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দিরা।
এখন রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জোরকদমে চলছে ভেষজ ধূপ তৈরির কাজ। বন্দিরাই বানাচ্ছেন নিজেদের হাতে। এক বন্দি জানিয়েছেন, মশার (mosquito) কামড়ে টেকা যায় না। শুধু রাতে নয়, দিনের বেশিরভাগ সময়ই মশার দল উড়ে বেড়ায়। কামড়ে শেষ করে দেয়। কয়েকজন বন্দি আবার একযোগে বলেন, "এত মশার কামড় সহ্য করা যায় না।" তাই ভেষজ ধূপ তৈরির পরিকল্পনা।
কারা দফতর জানাচ্ছে, আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও মহকুমা জেলেও ওই ভেষজ ধূপ তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে। কারা দফতরের আউটলেটগুলিতে এইসব ধূপ পাওয়া যাবে। তাছাড়া জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীতেও বিক্রি হবে। তার থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে তাতে বন্দিদের উপকার হবে। মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দমদম, বারুইপুরের মতো কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি সংখ্যা বেশি। সেখানে ভেষজ ধূপ তৈরির কাজ চলছে। এই ধূপ জ্বালালেই নাকি মশারা আর ধারেকাছে ঘেঁষছে না।
আরও পড়ুন: বর্ষা বিদায়ের আগে ঘূর্ণাবর্তের মেঘ বঙ্গোপসাগরে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভোল বদলাবে আবহাওয়া