দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা মেয়েকে আগেই জানিয়ে ছিলেন মা। এরপর মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বাবার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করল মেয়ে।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ার ভাজনঘাট এলাকায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের দাবি, বাবার বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক জেরে প্রায়ই সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। আর এর জেরেই মাকে খুন হতে হল। মৃতের নাম রীনা হালদার (৫০)। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী ষষ্ঠী হালদারের খোঁজে তদন্তে নেমেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হালদার পাড়ায় ওই দম্পতির দুই প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান রয়েছে। তাঁদের মেয়ে সন্ধ্যা বিশ্বাসের বিয়ে হয়েছে রানাঘাটে। ছেলে বাবুসোনা হালদার ভিন রাজ্যে সেন্টারিংয়ের কাজ করেন।
মেয়ে সন্ধ্যা বিশ্বাসের দাবি, বেশকিছুদিন ধরেই বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তি চলছিল। মদ্যপ অবস্থায় তাঁর মায়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন বাবা ষষ্ঠী হালদার। প্রতিবাদ করলে রীনাদেবীকে মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন ষষ্ঠী। সোমবার রাতে মেয়েকে ফোন করে অশান্তির কথা জানিয়ে ছিলেন রীনাদেবী। সেখানে তিনি স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা মেয়েকে জানিয়ে ছিলেন।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে সন্ধ্যা বিশ্বাস জানতে পারেন, তাঁর মা মারা গেছেন। ফোনেই তাঁকে কেউ বা কারা খবর দিয়েছিল। মায়ের মৃত্যুর কথা শুনে বাপের বাড়িতে ছুটে আসেন সন্ধ্যা। সেখানে এসে দেখেন, বাড়ির বাইরে মেঝের ওপর পড়ে রয়েছে তাঁর মায়ের মৃতদেহ। বাড়িতে কেউ নেই। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্না আওয়াজে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পরে মেয়ে সন্ধ্যা বিশ্বাস কৃষ্ণগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ষষ্ঠী হালদার। পলাতকের খোঁজে তদন্তে শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।