শেষ আপডেট: 30th September 2024 15:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বনধকে যে তিনি কোনওভাবেই সমর্থন করেন না, পাহাড় থেকে নেমে এসে স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে সোমবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে চা শ্রমিকদের আটটি সংগঠন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি কোনও বনধ সমর্থন করি না। বাংলায় কোনও বনধ হবে না।"
এদিন পুজোর মুখে বোনাসের দাবিতে চা শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে মহা ভোগান্তিতে পড়েন পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারই উত্তরকন্যায় বৈঠক করেছেন। তাঁর সফরের মাঝেই বোনাসের দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকেন চা শ্রমিকরা। সকাল থেকে জায়গায় জায়গায় শুরু হয় পিকেটিং। পাহাড়ে ওঠা নামার প্রায় সব রাস্তাই বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা। কার্শিয়াঙে বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়।
সোমবার দুপুরেই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি কোনও বনধ সমর্থন করি না। চা শ্রমিকদের দাবি। লেবার কমিশনের সঙ্গে ট্রায়পাটাইট মিটিং চলছে। ওরাই ডিসাইড করবে।"
তিনি কোনও হস্তক্ষেপ করবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি কোনও হস্তক্ষেপ করব না। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়টির সমাধান হবে। তরাই-ডুয়ার্স হয়ে গেছে, পাহাড়ও হবে। আমি কোনও বনধ সমর্থন করি না। বাংলায় কোনও বনধ হবে না।"
পাহাড়ে আন্দোলনকারী শ্রমিক নেতারা এদিন বলেন, "তরাই-ডুয়ার্সে ২০ শতাংশ বোনাস হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ে এখনও হয়নি। রবিবারের বৈঠকেও কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়েই আটটা শ্রমিক সংগঠন বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" ভরা মরশুমে এখন পাহাড়ে পর্যটকের ঢল। শ্রমিক নেতারা জানান, পর্যটকরা যে সমস্যায়, এটা বুঝতে পেরেছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের কিছু করার নেই। অন্যদিকে আটকে পড়া পর্যটকদের বক্তব্য, পাহাড় থেকে ওঠা বা নামার কোনও উপায়ই রাখেননি আন্দোলনকারীরা।