শেষ আপডেট: 8th July 2023 15:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুপুরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নন্দীগ্রাম থেকে কমিশনের অফিসে আসছেন তিনি। একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বেন। সেই মতোই শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ নির্বাচন কমিশনের অফিসে এসে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ((Suvendu Adhikary)। শুধু তাই নয়, একতলায় রাজীব সিনহার ঘরে বেশ কিছুক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচির পর কমিশনের মূল ফটকে তালা মেরে দিলেন শুভেন্দু।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB panchayat election) ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তারমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রবল হিংসাত্মক হামলা, অশান্তি, বোমাবাজির খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদিন দুপুরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ফোন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতোই নন্দীগ্রামে সাংবাদিক বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের অফিসে এসে হাজির হন শুভেন্দু ও তাঁর দলবল।
এদিন দফতরে ঢুকেই স্লোগান তোলেন শুভেন্দুরা। প্রথমে কমিশনের অফিসের দোতলায় উঠে যান বিরোধী দলনেতা ও তাঁর সঙ্গীরা। সেখানে গিয়ে কনফারেন্স রুমের দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন। পরে পুলিশ তাঁদের জানান, রাজীব সিনহার ঘর এক তলায়। এরপরেই মেজাজ হারান শুভেন্দু।
চিৎকার করে বলতে থাকেন, আগে থেকে বলেননি কেন? ইয়ার্কি মারছেন? আপনার মমতার বেতন পান না। সরকারের পান।
এরপর দেখা যায়, শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের বন্ধ গেটে লাথিও মারেন।
তুমুল বাদানুবাদের পর শুভেন্দুরা একতলায় রাজীব সিনহার ঘরে এসে পৌঁছন। ঘরের ভিতর থেকে তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি ভেসে আসছিল বলে সূত্রের খবর।
তারপরেই ঘর থেকে বেরিয়ে কমিশনের মেন গেটে তালা মেরে দেন শুভেন্দু। সেই নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়। যদিও তালা লাগানোর এক মিনিটের মধ্যেই সেই তালা খুলে ফেলেছে পুলিশ, এমনটাই সূত্রের খবর।
শুভেন্দু এদিন সকাল থেকে তাঁর নির্বাচন কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ছিলেন। সেখানে ভোটও দিয়েছেন। তার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি দুপুরের পর কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন।
নির্বাচন কমিশনের আশঙ্কা ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করতে পারে বিজেপি। তার নেতৃত্ব দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। শেষমেশ সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এরপর বিরোধী দলনেতা কী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
রাজীব সিনহাকে ফোন শুভেন্দুর, ‘আপনি থাকুন আমি আসছি, আজ একটা হেস্তনেস্ত করবই’