শেষ আপডেট: 11th September 2024 12:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চাপের মুখে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ ছাত্রের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ছাত্ররা প্রত্যেকেই ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত।
আরজি কর কাণ্ডের পর ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও। কলেজ কাউন্সিলের গত বৈঠকেই থেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ এবং ডিন, সহকারি ডিন ও আরএমওকে ছুটিতে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল। থ্রেট কালচারে যুক্ত ডাক্তারি পড়ুয়া জয় লাকড়া, তীর্থঙ্কর রায়, ঐশী চক্রবর্তী, সৃজা কর্মকার, ও অরিত্র রায়কে বহিষ্কার করে নোটিস দেওয়া হয়। নম্বর বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত ইনটার্ন সোহম মণ্ডল এবং তিন হাউস স্টাফ সাহিন মণ্ডল, সাহিনুল ইসলাম ও ঋতুরম্ভ সরকারকেও টারমিনেট করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
।
তারপরেই শুরু হয় ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত ছাত্রদের রাতদখল। অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অনুগামী এই পাঁচ বহিষ্কৃত ছাত্র ও অন্য পড়ুয়াদের একাংশ। এই চাপের মুখে রাত বারোটার পর কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে রাতেই ছাত্রদের বহিষ্কার স্থগিত বলে সিদ্ধান্ত জানান অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। পাঁচ ছাত্রের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান অধ্যক্ষ। অবশ্য বুধবার দুপুরে ফের বসবে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।
তাই বুধবার ফের গন্ডগোলের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। কারণ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চাপে ৫ ছাত্রের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হলেও আন্দোলনকারীদের পালটা বিক্ষোভের সম্ভাবনা প্রবল। সোমবারই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা জানিয়েছিলেন, যে ইন্টার্নদের নাম এসেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা হাউজস্টাফ, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, হাউজস্টাফশিপ টারমিনেট করা হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে বলা হবে, যাতে ওদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর আদৌ দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবশ্য ডাক্তারি ছাত্রদের ব্যাপারে আদৌ এ সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গেল