শেষ আপডেট: 12th February 2021 09:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার খোলাখুলি প্রশংসা করে দুদিন আগেই আবহ তৈরি করেছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তার পর শুক্রবার দুপুরে হঠাৎই রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিয়ে তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। শুধু ইস্তফাই নয়, বাংলায় যে রকম রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দলে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। তৃণমূলের শুরুর দিনের নেতা দীনেশ। সম্ভবত তৃণমূল থেকে প্রথম তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। এদিন দীনেশের ইস্তফা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সংযত মন্তব্য করেছেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু দীনেশের ঝাঁঝালো সমালোচনা রাজ্যসভায় তৃণমূলের ডেপুটি লিডার সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে দীনেশ যখন হেরেছিলেন, তখন তাঁর একবার দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পায়ে ধরে কদিন আগেই রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। এখন আবার ফের ওর নাকি দমবন্ধ হয়ে আসছে। হয়তো বিজেপিতে যাবেন। তার পর যদি দেখেন নরেন্দ্র মোদী হারতে বসেছেন, তখন আবার দমবন্ধ হয়ে যাবে। এমন ঘনঘন দমবন্ধ হয়ে এলে তো খুব চিন্তার ব্যাপার। সুখেন্দুবাবু বলেন, রাজ্যসভায় বাজেটের উপর তৃণমূলের দুজনের বলার কথা ছিল। দীনেশের বলার কথা ছিল না। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে আমি বাড়িতে এসেছিলাম। সভা শুরু হওয়ার পর শাসক দলকে ম্যানেজ করে বলার সময় আদায় করেছেন দীনেশ। সুখেন্দুবাবু বোঝাতে চান, আগে থেকেই সব ঠিকঠাক করে রেখেছিলেন, দীনেশ ত্রিবেদী। নইলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তাঁকে আচমকা বলার সময় দিতে পারেন না। তাঁর কথায়, যাঁদের দমবন্ধ হয়ে আসছে, তাঁরা দ্রুত চলে গেলেই ভাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল স্তর থেকে নেতা তুলে এনে রাজ্যসভার সদস্য করবেন। দলের কোনও ক্ষতি হবে না।