শেষ আপডেট: 23rd October 2024 18:18
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর এবার মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের মুখেও জন বার্লাকে খুব একটা কেউ সামনের সারিতে দেখছেন না। বুধবার দুপুরে বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর বাড়িতে পৌঁছতেই জল্পনা তুঙ্গে উঠল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মানভঞ্জন করাতেই কি এই সফর? তবে কি এবার বরফ গলবে?
লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জন বার্লা। তারপর থেকে একরকম সরিয়েই রেখেছেন নিজেকে। এমনকি মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের মুখে দলের অন্য নেতাদের দৌড়ঝাঁপ বাড়লেও, তাঁকে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি খুব সম্প্রতি সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তাঁর বোন মেরিনা কুজুর। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে সুলকাপাড়া এলাকা থেকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন মেরিনা। জয়ীও হন। তবে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। সেই মেরিনার দল ছাড়ায় ঘরে বাইরে চাপে পড়ে বিজেপি।
এমন পরিস্থিতিতেই বুধবার মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমার দিন বানারহাটে লক্ষীপাড়া চা বাগানে জন বার্লার বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ রাজু বিস্তা। জানা গেছে, বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর সকলে মিলে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন।
পরে সাংবাদিকদের সামনেই অভিমানী জন বার্লা বলেন, "দলের একাংশ দলকে বদনাম করতে তৎপর। যা কখনওই কাম্য নয়। একসময় এই চা বাগান অধ্যুষিত ডুয়ার্সে বিজেপির পতাকা লাগানোর কেউ ছিল না। আমিই এখানে সংগঠন বিস্তার করেছি। এখন আমাকে না জানিয়ে সবকিছু হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিজেপির এক নির্দল প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। একইসাথে একজন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রার্থী দিলে এই পরিস্থিতি হত না।"
তবে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, জন বার্লার সঙ্গে এই সাক্ষাৎকার ছিল একেবারেই ব্যক্তিগত। ওঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই তার সঙ্গে দেখা করতে আসা। জন বার্লা কি প্রচারে নামবেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তবাবু বলেন, "তিনি এখন সংসার সামলাচ্ছেন। তাঁর বাড়িতে অসুস্থ রোগী রয়েছে। সময় পেলে অবশ্যই তিনি প্রচারে নামবেন।"
মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তা নিয়ে তিনি বলেন, "খুব একটা বেশি কিছু করতে পারবেন না নির্দল প্রার্থী। আমি অনুরোধে করব মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য এবং আমাদেরকে সমর্থন করার জন্য।"
জন বার্লার বাড়িতে সুকান্ত মজুমদারের সফরের পরেই জেলার গেরুয়া শিবিরে জোরদার জল্পনা। নানা সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করছেন দলের কর্মীরা।