দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাধ্যমিকে যেমন ১০০ শতাংশ পাশ করেছে, তেমনটা হয়নি উচ্চ মাধ্যমিকে। দেখা যাচ্ছে ফেলের সংখ্যা নয় নয় করে কম নয়। অথচ মাধ্যমিকের ফলাফল দেখে হয়ত প্রত্যাশা ছিল উচ্চ মাধ্যমিকেও তাই হবে। ফলে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকেই। শনিবার সেই বিক্ষোভের আগুনে আহত হলেন দুই ছাত্র।
শনিবার সেই উত্তাপ বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েক দাগ চড়ে গেল মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ায়। সেখানে সরবপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন ১৮০ জন ছাত্র। তাঁদের মধ্যে ১০০ জন পাশ করেছে। বাকি ৮০ জন ফেল করেছেন। আবার যাঁরা পাশ করেছেন, তাঁদের অভিযোগ যে তাঁরা প্রত্যাশা মতো নম্বর পাননি।
এই সব সাত পাঁচ অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার বিকেল থেকেই সেখানে অশান্তি শুরু হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের জানিয়েছিলেন শনিবার স্কুলে আসতে। কিন্তু শনিবার স্কুলে বৈঠকের পর প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, এ বার আর কিছু করা যাবে না। যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁরা যেন মন দিয়ে পড়াশুনা করেন, সামনের বছর নিশ্চয়ই তার ফল পাবেন তাঁরা।
কিন্তু সে যুক্তি শুনতে নারাজ ছাত্রদের একাংশ। তাঁরা সুন্দরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। সেই আগুন ঠিকরে এসে আহত হয়েছেন দুই জন। এদের মধ্যে বাসির শেখ নামে এক ছাত্রকে হরিহরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের মহিষমারা ঘোড়ামারা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বছর এরকমই পরিস্থিতি হয়েছিল। ওই স্কুল থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছেন ১৬১ জন। তাঁদের মধ্যে পাশ করেছেন মাত্র ৭৪ জন। অর্থাৎ ৫০ শতাংশেরও কম উত্তীর্ণ। যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের অভিযোগ, জোর করে ফেল করানো হয়েছে তাঁদের। রেজাল্ট দেখে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। মাত্র ৭৪ জন পাশ করেছে। বাকিরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে। এই অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে তালাবন্দি করে রাখা হয়। ভাঙচুর হয় স্কুল চত্বরে।
হরিহর পাড়া ও ঘোড়ামারার খবর পৌঁছে যায় জেলা শাসকের দফতরেও। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে জন্য আলোচনা শুরু করেছেন প্রশাসনিক ও জেলা পুলিশ কর্তারা।