দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: কেন্দ্রীয় সরকারের সাংস্কৃতিক মহোৎসবের আসর বসছে কোচবিহার রাজবাড়িতে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে কোচবিহার। ভারত সরকারের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রক এই মহোৎসবের উদ্যোক্তা। কোচবিহার রাজবাড়ির সামনে তৈরি হচ্ছে বিশাল আকারের মঞ্চ।
ইতিমধ্যেই আলোয় ভরিয়ে তোলা হয়েছে রাজবাড়িকে। কেরালা-মধ্যপ্রদেশ-পাঞ্জাব-হরিয়ানা-রাজস্থান সমস্ত রাজ্য থেকেই আসছেন শিল্পীরা। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ির সামনে যেন উঠে আসবে একটুকরো ভারতবর্ষ। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই উৎসব। চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতি দু’ বছর অন্তর ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসব হলেও এই প্রথমবার কোচবিহারের মতো একটি ছোট্ট শহরে হবে এই উৎসব। তথ্য সংস্কৃতি ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের অধীনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গেছে। কোচবিহারের প্রাণপুরুষ ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে উৎসবের সূচনা হবে রবিবার। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও একাধিক ভিভিআইপি উপস্থিত থাকবেন বলে জানান কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক।
তিনি জানান, কোচবিহারের ঐতিহ্য ও সারাভারতের বিভিন্ন জায়গার কৃষ্টিকে সাধারণের সামনে তুলে ধরতেই এই মহোৎসব। রাজ্যের শিল্পীরাও অংশ নেবেন এখানে।
যদিওবা অনুমতি নিয়ে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও উৎসবের প্রস্তুতিতে খামতি নেই আয়োজকদের। মঞ্চ তৈরি হয়েছে, প্লাস্টার অফ প্যারিস এর মূর্তি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রাজবাড়ির প্রাঙ্গণ। ভিন রাজ্য থেকে শিল্পীরা ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছেন কোচবিহারে। তাঁরা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজবাড়ির প্রাঙ্গণেই। শিল্পীদের একাংশ জানালেন, খোলা মঞ্চে ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ির সামনে এবারের এই উৎসব অনুষ্ঠানকে আলাদা মাত্রা দেবে।
কোচবিহার রাজবাড়ির সামনে কেন প্যান্ডেল খাটিয়ে মঞ্চ তৈরি করে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে তা নিয়ে কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনও অনুগামীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এরফলে রাজবাড়ির ঐতিহ্য নষ্ট হবে।