দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল। তবুও দলের চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গেল না তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। বৈঠকে অনুপস্থিত রইলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহও। স্বভাবতই আলোড়ন কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরে।
রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে কোচবিহার জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান, সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। কিন্তু বৈঠকে দেখা মিলল না খোদ দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের। বৈঠকে ছিলেন না দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহও।
কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী অনেক আগেই দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাই এদিনের বৈঠকে তাঁর না থাকা আলাদা করে নজরে আসেনি কারও। তবে পার্থপ্রতিমবাবু ও উদয়ন গুহর অনুপস্থিতি অবাক করেছে অনেককেই।
এ ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘তাঁরা কেন আসেননি তাঁরাই বলতে পারবেন। আমিও শারীরিক অসুস্থতার জন্য কয়েকটি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারিনি।’’ জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণবাবু অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। জেলায় দলকে শক্তিশালী করা ও বিধানসভায় জেলায় সমস্ত আসন দখল করার লক্ষ্যেই এদিনের বৈঠক বলে জানান তিনি।
তবে দলীয় সূত্রে খবর, দলের বেঁকে বসা বিধায়কদের নিরস্ত করতে পিকের দাওয়াই না পসন্দ দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের। দলের চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণবাবু সব বিধায়কদের নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার কথা বললেও বিগত দিনেও কিন্তু উদয়নবাবুকে বিনয়বাবুর বাড়িতে ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার অবশ্য উদয়নবাবু বলেন,‘‘আজকের বৈঠকে যাইনি। আবার পরের বৈঠকে যাব।’’ বারবার চেষ্টা করেও পার্থপ্রতিমবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
কোচবিহারে দলে বিক্ষোভের কাঁটা জিউয়ে আছে অনেকদিন ধরেই। তা উপড়ে ফেলে বিধানসভা ভোটের আগে দলের শক্তি মজবুত করার যত চেষ্টাই হোক, সবাই যে তাতে সামিল হতে নারাজ সেটা বৃহস্পতিবার ফের প্রকাশ্যে এল বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।