শেষ আপডেট: 11th November 2019 11:40
সন্দেশখালি কাণ্ড: রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট, দিতে হবে ১৫ দিনে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৮ জুন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল সন্দেশখালির ন্যাজাট হাটগাছি। দুই বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল খুন হন। দেবদাস মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হন। এখন পর্যন্ত দেবদাসের হদিশ মেলেনি। এবার সেই ঘটনা নিয়েই রাজ্যের কাছে ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। নিরুদ্দেশ দেবদাস মণ্ডলের পরিবারের তরফে মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে। তারই শুনানি ছিল এদিন। আদালত প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, এতদিনে তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা ২৫ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে। বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি চিরকালই রাজনৈতিক কারণে উত্তপ্ত থাকে। সেখানে লড়াই মূলত মাছের ভেড়ি দখল নিয়ে। বাম জমানাতেও তাই ছিল। মাছের ভেড়ি সাম্রাজ্যের দখল নিয়েই সিপিএম জমানায় উত্থান হয়েছিল শেখ শাহজাহানের। বাংলায় পালা বদলের পর সেই শাহজাহানই সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। এই গণ্ডগোল নিয়ে সন্দেশখালির ঘটনার সূত্রপাত। তারপর গুলিবৃষ্টি হয়েছিল সেখানে। রাজ্য বিজেপিও নিহত কর্মীদের পরিবার নিয়ে আন্দোলন করেছে। ধর্ণায় বসেছিল শ্যামবাজারে এসেও। একই সঙ্গে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কার্যত সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “শাহজাহান কিন্তু লক্ষণ শেঠ নয়। এলাকায় ওঁর একটা জনপ্রিয়তা আছে।” তখনই বিজেপি নেতাদের অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুনের আসামীকে ক্লিনচিট দেন, সেখানে কেমন তদন্ত হবে বোঝাই যাচ্ছে! তারপরই আদালতে যায় গেরুয়া শিবির। হলফনামায় রাজ্য কী রিপোর্ট দেয় আদালতে এখন সেটাই দেখার।