নকিবউদ্দিন গাজি : এ বার পরিবেশবান্ধব মেলা। তাই মেলায় যোগ দিয়ে নিজেকে সময়োপযোগী করে নিলেন গঙ্গাসাগরে আসা নাগা সন্ন্যাসী চেতনবাবাও। তাঁর কার্যকলাপে ইতিমধ্যেই হিটারবাবা নামে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
একেবারে কপিলমুনির আশ্রমের পাশেই নাগা সন্ন্যাসীদের আস্তানা। আর সেখানেই দেখা মিলল হিটারবাবার। সাধারণত আস্তানায় ধুনি জ্বালিয়ে রাখেন নাগা সন্ন্যাসীরা। সাগরমেলাতেও তার ব্যতিক্রম হয় না। কিন্তু এ বার গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশ বান্ধব মেলা বলে ঘোষণা করেছে রাজ্যসরকার। তাই ধুনির আগুন জ্বালানো থেকে বিরত রইলেন চেতনবাবা। আস্তানায় বৈদ্যুতিক হিটার রেখে ধ্যানে মগ্ন হলেন তিনি।
ধ্যান ভাঙতে হিন্দিতে যা বললেন তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “বর্তমানে দেশ এগোচ্ছে। তারসঙ্গে তাল মিলিয়েই এই রাজ্যে সরকার সাগরমেলাকে পরিবেশবান্ধব মেলা ঘোষণা করেছে। ধুনি জ্বালালে কাঠের ধোঁয়ায় দূষণ ছড়ায়। তাই আর ধুনি না জ্বালিয়ে হিটার রেখে দিয়েছি। তাছাড়া কাঠ পেতেও এখন বেগ পেতে হয়।”
মকরসংক্রান্তিতে মঙ্গলবার রাত থেকে সাগরতীর্থে এক সাথে ডুব দিলেন লক্ষাধিক মানুষ। মাহেন্দ্রক্ষণ মেনে রাত ১.২৪ মিনিট থেকে শুরু হয় পূণ্য স্নানের সময়। মাহেন্দ্রক্ষণে স্নান করার জন্য সাগরতটে ভিড় জমতে থাকে পুণ্যার্থীদের। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আঁটোসাঁটো ছিল নিরাপত্তার বলয়। পুণ্যস্নানের সময় শেষ হচ্ছে ১৬ তারিখ রাত ১২ টা ২৪ মিনিটে।