শেষ আপডেট: 26th September 2020 07:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: লকডাউনে জেরে ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ। এরই মধ্যে বর্ধমান থেকে ৫১০ টন চাল পাঠানো হল ত্রিপুরায়। ফলে দারুণ খুশি বর্ধমানের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, ত্রিপুরায় ভাল চাহিদা রয়েছে এই চালের। রেলের পক্ষ থেকে পরিবহণ খরচেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাতে একদিকে যেমন খরচ কমল তাঁদের, পাশাপাশি, নতুন করে বাইরে চাল পাঠানোর সুযোগও মিলল। এই অতিমারী পরিস্থিতিতে যা তাঁদের কাছে একটা বড় সুযোগ। কারণ বাইরে চাল গেলেই তাদের লাভ বাড়বে, চাহিদাও তৈরি হবে। শুক্রবার বর্ধমান রেলওয়ে পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে এই চাল পরিবহণ শুরু হল। এদিন বর্ধমান থেকে ত্রিপুরায় পাঠানো হল ৫১০ টন চাল। রেল আধিকারিকরা জানান, পূর্ব বর্ধমান রেল বিভাগের কাছে এটি স্মরণীয় ও আনন্দের দিন। এদিন রেলের পক্ষ থেকে চাল ব্যবসায়ীদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। বর্ধমান রেলের পরিবহণ দফতরের আধিকারিক বাল যোগেশ্বর প্রসাদ জানাচ্ছেন, লকডাউনের সময় বিভিন্ন মিল মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই চাল পরিবহন করা সম্ভব হল। ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে রফতানির বেশকিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। আগামী দিনেও ব্যবসায়ীদের এমন অনেক সুবিধা দেওয়া হবে। বর্ধমানের স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, ‘‘এইভাবে খাদ্যদ্রব্য রফতানি করা হলে রেলের আয় বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও অনেক সুবিধা পাবেন। এতদিন তাঁরা সড়কপথে খাদ্যদ্রব্য রফতানি করতেন। এতে অনেক বেশি সময় লাগত। খরচও বেশি লাগত। রেলপথে বাণিজ্যে তাঁদের অনেক সুবিধা হবে।’’ চাল ব্যবসায়ীরাও ট্রেনে করে মাল পাঠানোর এই সুযোগে খুশি। ব্যবসায়ী কুরেশ প্যাটেল বলেন, ‘‘এতদিন সড়কপথে চাল রফতানি করা হত। সে ক্ষেত্রে সাত থেকে দশ দিন সময় লাগত। রেলে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে চাল গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। এতে আর্থিকভাবে আমরা বেশি লাভবান হব। পাশাপাশি সমস্ত সামগ্রী সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছেও যাবে। ব্যবসায়ী তাপস কেস বলেন, ‘‘পাঁচ রকমের চাল রফতানি করা হল। যার মধ্যে আছে ভাতের চাল ও মুড়ির চাল। ত্রিপুরায় এই চালের ভালো চাহিদা আছে। আমরা যদি এই পরীক্ষামূলক রফতানির সুবিধা পাই, তাহলে আগামী দিনে আরও অনেক ব্যবসায়ী এইভাবে ভিন রাজ্যে চাল রফতানি করতে পারবেন। বর্ধমানে চালের ফলন হয় প্রচুর। চাষির ফসলের চাহিদাও বাড়লে তাঁদেরই লাভ।’’