দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক ডাক্তার আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সাত সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যায় বাম আমলের ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য আবদুর রেজ্জাক মোল্লা মারা গিয়েছেন। যা নিয়ে খুবই মর্মাহত বর্ষীয়ান রাজনীতিক।
তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি ভাল আছি। ৭৭ বছর বয়সে যেমন থাকা যায় তেমনই আছি।" মৃত্যুর গুজব সম্পর্কে তিনি বলেন, "শুনলাম আমার সম্পর্কে এরকম রটেছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।"
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তিনি নিউটাউনের ফ্ল্যাটে রয়েছেন। শুক্রবার তিনি দেশের বাড়ি অর্থাৎ ক্যানিংয়ের গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমে বর্তমান মন্ত্রী তথা একদা সিপিএম নেতার রেজ্জাক মোল্লার ছবি দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
যিনি মারা গিয়েছেন তিনিও সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন। ৮৭ সালের ভোটে একবারই জিতেছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের তরফে বলা হয়েছে, প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে ২০০৮ সালের পর দলের কোনও যোগাযোগ ছিল না। তবে তিনি অন্য দলে যোগ দেননি কখনও।
অনেকের বক্তব্য, মানুষের মৃত্যু নিয়ে গুজব রটানোর প্রবণতা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তীব্র আকার নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিখ্যাত ব্যক্তির মৃত্যু গুজব রটেছে। গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু নিয়ে যে ভাবে গুজব রটেছিল তা নিয়ে তিনিও দুঃখ পেয়েছিলেন। বিবৃতিও দিয়েছিলেন। রবিবার সন্ধেবেলা অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিয়েও কম ভুয়ো খবর চাউর হয়নি। তবে অনেকের বক্তব্য, নাগরিকরা এই ধরনের ভুল করতেই পারেন তাই বলে সংবাদমাধ্যম? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের এক অতিথি অধ্যাপক বলেন, "একাধিক সূত্র থেকে ক্রস চেক করার অভ্যেসটাই এই সময়ের সাংবাদিকতা থেকে উঠে যাচ্ছে। যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।"