শেষ আপডেট: 9th June 2020 07:57
কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা নিয়ে তুমুল অশান্তি হাওড়ায়, সিপিএম নেতা-সহ গ্রেফতার ৩
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি নিয়ে সোমবার রাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল ডোমজুড়ের সলপে। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের উপরেও আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে স্থানীয় বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। গতকাল রাত দশটা নাগাদ ওই পরিবারটিকে স্কুলে ঢোকানোর সময় স্থানীয় মানুষজন বাধা দেন। এই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। সংক্রমণের আশঙ্কায় কেউ পরিবারটিকে সেখানে থাকতে দিতে রাজি নন। পুলিশ এসে বোঝালেও কানে তুলতে নারাজ তাঁরা। বুঝিয়ে কাজ না হওয়ায় পরে জনতাকে হটিয়ে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, এরপরই উত্তেজিত জনতা সলপ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কেয়া নস্করের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ি। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ফের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করেও জনতা ইটপাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এরপরেই লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতাকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। রাতেই ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে ওই স্কুল থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সলপ ২ এর তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি গৌতম নস্কর বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকেই ওই শ্রমিক পরিবারকে বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন স্কুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দু’মাসের একটি শিশুও রয়েছে ওই পরিবারে। কিন্তু স্থানীয় মানুষদের বাধায় তাঁদের সে্খান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বিরোধীরাই স্থানীয় মানুষদের উস্কানি দিয়ে এই অশান্তি তৈরি করেছে। পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। এই ঘটনায় ধৃত তিনজনের মধ্যে একজন সিপিএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য। নাম উত্তম বেরা। পুলিশকে মারধর ও এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে ডোমজুড় থানার পুলিশ। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই পুলিশ উত্তম বেরাকে ফাঁসিয়েছে। সিপিএম এর অঞ্টল কমিটির সদস্য সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে আমাদের দলের জেলা কমিটির সদস্যকে। এই অশান্তির ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই।’’ উত্তেজনা থাকায় এখনও এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে।