শেষ আপডেট: 18th July 2020 05:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আতঙ্কও বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানে। জেলায় এ পর্যন্ত ২৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে ৮০ জন রোগী রয়েছেন যাদের চিকিৎসা চলছে। মারা গেছেন ২ জন। শুধুমাত্র শুক্রবারই ১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে বর্ধমান শহরে বাসিন্দা ৫ জন।
এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। লাগু করতে চাইছে কঠোর বিধিনিষেধ। শহরে কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে ন’টি। এরমধ্যে ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণের হার বাড়ছে দ্রুত। তাই ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। বাজার দোকান সরকারি বেসরকারি অফিস সহ সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ থাকবে বলে সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এছাড়া কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ধরা হবে সংযুক্ত এলাকাকেও। পুরো আর বি ঘোষ রোড, রামকৃষ্ণ রোডের ফ্রেজার এভিনিউ থেকে আর বি ঘোষ রোড এর জংশন, পাওয়ারহাউস পাড়া থেকে আর বি ঘোষ রোডের একাংশ, লোকো কলোনির কালনা রোডের দক্ষিণ অংশে আগামী ৭ দিনের জন্য বিধি বলবৎ থাকবে।
শহরের সুপার মার্কেটগুলি অড-ইভেন ভিত্তিতে একদিন অন্তর খোলা থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এগুলি হল দত্ত সেন্টার, কল্যাণী সুপার মার্কেট, বর্ধমান আর্কেড, দেবযানী সুপার মার্কেট এবং সংস্কৃতি মঞ্চের বিপরীতের হকার্স মার্কেট। শহরের আরও বেশ কিছু এলাকায় একদিন ডানদিকের ও একদিন বাঁ দিকের সব দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেমন সোনাপট্টি বাজার, চাঁদনি চক, নতুনগঞ্জ বাজার, রাধাবল্লভ মিষ্টান্ন বাজার থেকে রানিগঞ্জ বাজার মোড়, পুলিশ লাইনের কাছে জেভিয়ার্স রোড বাজার, বর্ধমান আরামবাগ রোডের বীরহাটার বাজার, বিবেকানন্দ কলেজের কাছের বাজার, টিকরহাট থেকে উত্তর ফটক বাজার, বি বি ঘোষ রোডের উত্তর ফটক থেকে বিজয় তোরণ ও নতুনগঞ্জ কাঁসারিপট্টিতে এই নিয়ম লাগু হবে।
লকডাউনের শেষপর্যায়ে বর্ধমানে সংক্রমণ সন্তোষজনকভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু একশ্রেণির নাগরিকের বেপরোয়া মনোভাবেই ছবিটা পাল্টে গেল বলে মনে করছেন নাগরিকদেররই একটা অংশ। প্রশান্ত দাস, দেবাশিস ঘোষরা বলেন, ‘‘সরকার থেকে সাবধান করা হচ্ছে বারবার, কী করবেন, কী করবেন না বলা হচ্ছে, কিন্তু তবুও অনেকেই খুব বেপরোয়া। নিয়মবিধির তোয়াক্কা করেননি তাঁরা। মাস্ক পরেননি, সামাজিক দূরত্ব রাখেননি। তাঁদের জন্যই আজ এই অবস্থা।’’ রবিউল জিলানি ও পল্লব দাসও মনে করেন মানুষের বেপরোয়া মনোভাবই বিপদ ডেকে আনল।
এখন নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ায় ভয় বাড়ছে শহরে। নতুন করে লকডাউন এর দাবিও উঠছে। এই অবস্থায় নতুন করে কঠোরতা আরোপ করুক প্রশাসন চাইছেন অনেকেই।