শেষ আপডেট: 15th January 2020 12:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো পুরাতন মালদহের সোনাঝুরি গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। নাবালিকার পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাঝুরি গ্রামে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একটি আমবাগানের মধ্যে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় নাবালিকার দেহটি উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহের পাশে একটি স্কুল ব্যাগ পড়েছিল। ওই ব্যাগ থেকে একটি লাল সোয়েটার উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের পাশে আগুনে পোড়া অবস্থায় কিছু কাগজ দেখতে পান তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা। তা থেকে পুলিশের অনুমান, প্রমাণ লোপাটের জন্যই হয়তো দুষ্কৃতীরা ওই নাবালিকার ব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় কিছু নথি পুড়িয়ে ফেলেছে। আগুনে পোড়া একটি কাগজের টুকরোতে শ্রীরামপুর হাইস্কুল লেখাটি দেখতে পেয়েছে পুলিশ। এখন এই শ্রীরামপুর এলাকাটি কোথায়, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুরাতন মালদহ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সোনাঝুরি গ্রামের কয়েকজন মহিলা জ্বালানির কাঠ ও শুকনো পাতা কুড়াতে আম বাগানে এসেছিলেন। তাঁরাই ওই নাবালিকার দেহটি আমবাগানের একটি ডালে ঝুলতে দেখেন। এরপরই গ্রামজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায় পুরাতন মালদহ থানার পুলিশ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই নাবালিকার হাঁটুর ওপরে রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছেন তাঁরা। ওই নাবালিকার পা দু’টিও মাটিতে ঠেকানো অবস্থায় ছিল। তা থেকেই তাঁদের ধারণা ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। তারপর ঝুলিয়ে দিয়েছে গাছে। ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের স্বামী সোনাই হেমব্রম বলেন, “এ দিন সকালে নাবালিকার দেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরে এলাকায় যাই। দেখি ওই মেয়েটির শরীরে রক্তের ছাপ রয়েছে। তাছাড়া বাগানের সীমানা পাঁচিল টপকে কীভাবে ওই মেয়েটি গেল সিটি ও পুলিশকে তদন্ত করে দেখা দরকার। এই এলাকার ফাঁকা নির্জন এবং চারপাশে ঘন আমবাগানে ঘেরা। সীমানা প্রাচীর ঘেরা আমবাগানের মধ্যে কী ভাবে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তা নিয়েও নানা প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমাদের ধারণা ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাগানে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই বাগানটি প্রায় আট ফুটের কংক্রিটের পাঁচিলে ঘেরা রয়েছে। কী করে ওই নাবালিকা এত উঁচু পাঁচিল টপকে বাগানের ভেতরে গেল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ওই বাগান মালিকের খোঁজ শুরু হয়েছে। পুরাতন মালদা থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানিয়েছেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়েটির পরিচয় জানার চেষ্টা করছি আমরা।