শেষ আপডেট: 8th February 2021 03:29
শেষদিনে জমা করতেই হবে ভাতার আবেদনপত্র, কৃষকদের ভিড়ে মেলার চেহারা রায়গঞ্জে
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর দিনাজপুর: দেশের এক অংশ যখন কৃষক বিদ্রোহের আঁচে পুড়ছে, তখন আরেক অংশে পিএম কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের কাগজ জমা দেওয়ার জন্য উপচে পড়া ভিড়। সেই ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন রায়গঞ্জ ব্লকের কৃষি দফতর সহ জেলার অন্যান্য কৃষি দফতর। সমস্ত আবেদনের কাগজ নিতে রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যাবে তা মনে করছেন কৃষি আধিকারিকরা। কৃষকরা যাঁরা আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছেন তাঁদের কেউ মোবাইলে ম্যাসেজ পেয়ে এসেছেন তো আবার কেউ এসেছেন এলাকার মানুষদের মুখে শোনা কথার ভিত্তিতে। টাকা পাওয়া নিয়ে কেউ আশাবাদী আবার কেউ বলছেন আশায় মরে চাষা। তবে এই কর্মকান্ড ঘিরে রীতিমতো মেলার আকার নিয়েছে রায়গঞ্জ উদয়পুরের কৃষাণ মান্ডিতে থাকা কৃষি দফতর। ফর্ম জমা করতে আসা কৃষক পিতাম্বর বর্মণ বলেন, ‘‘আমার মোবাইল ফোনে মেসেজ এসেছিল কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের কাগজ জমা করার জন্য। বছরে নাকি ছ’হাজার টাকা পাওয়া যাবে। সেই কথা শুনেই ফর্ম জমা করতে চলে এসেছি।’’ আরেক কৃষক হাকিমুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘টাকা পাব কি না তা জানি না। তবে মেসেজ যখন পেয়েছি তখন ফর্ম জমা করে গেলাম। যদি টাকা পাওয়া যায়।’’ রায়গঞ্জ সহ জেলার সবকটি কৃষি দফতরে কৃষকদের ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা কৃষি দফতরের আধিকারিকদের। কৃষকরা কেউ এসেছেন মোবাইল ফোনে রাজ্য সরকারের পাঠানো বার্তা পেয়ে। কেউ এসেছেন এলাকার মানুষের মুখে শুনে। সব মিলিয়ে রায়গঞ্জ কৃষান মান্ডিতে যেন মেলার ভিড়। কেউ ল্যাপটপ ও প্রিন্টার নিয়ে অনলাইনে আবেদন জমা করে তার প্রিন্ট করছেন কিছু মজুরির বিনিময়ে। কেউ আবার খুলে বসেছেন অস্থায়ী খাবার ও চায়ের দোকান। বিকাল ৩ টা পর্যন্ত অন লাইনে ২৮৭০৬ জন কৃষক আবেদন জমা করেছেন বলে দফতর সুত্রে জানা গেছে। আর সেই সময়ে কৃষি দফতরের অফিসের বিভিন্ন জানলায় ভিড় করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েক হাজার মানুষ। রায়গঞ্জ ব্লক কৃষি আধিকারিক তুষারকান্তি চৌধুরী বলেন, তিনদিন ধরেই এমন ভিড় হচ্ছে। সোমবার ফর্ম জমা দেওয়ার শেষদিন বলে সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে। প্রয়োজনে গভীর রাত পর্যন্ত আমরা কাজ করে সবার ফর্মই জমা নেব।’’